দলের এক নেত্রীর করা চাঁদাবাজি মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের রিমান্ড নাকচ করেছেন আদালত।
তবে পুলিশ বক্সে হামলা ও ভাঙচুরের দুই মামলায় দলের ১১ নেতা-কর্মীকে এক দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এই দুই মামলায় রিমান্ড নাকচ করা হয়েছে দলের পাঁচ নেত্রীরও।
অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদ বুধবার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আদালত যাদের রিমান্ড দিয়েছেন তারা হলেন মারুফুল হক, মো. ফিরোজ, তারেক আজিজ, আবু বক্কর সিদ্দিক, সাঈদ তানজিম মাহমুদ, আব্দুর রহিম প্রকাশ, মিনার রহিম, আলী আকবর হোসেন, লিটন, হায়দার হোসেন, সাকিব হোসেন ও মোতালেব।
রিমান্ড নাকচ করা হয়েছে আঁখি সুলতানা, দেওয়ান মাহমুদা আক্তার লিটা, রিনা বেগম ও ফাতিমা কাজলের।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, চাঁদা দাবি ও অপহরণের অভিযোগে করা মামলায় ডা. শাহাদাতের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল।
শুনানি শেষে আদালত তার রিমান্ড নাকচ করেছে। এ ছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় ১৬ আসামিকে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত ১১ আসামিকে এক দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে এবং পাঁচ আসামির রিমান্ড নাকচ করেছে।
তিনি আরও বলেন, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শাহাদাতকে ডিভিশন দিতে আদেশ দিয়েছেন আদালত। পরে সব আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গত সোমবার বিকেলে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
এরপর সন্ধ্যায় পাঁচলাইশ এলাকার বেসরকারি ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে নিজ চেম্বার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শাহাদাত হোসেন ও তার সহকারী মারুফুল হককে।
পরে চট্টগ্রাম নগর বিএনপি নেত্রী লুসি খানের করা ১ কোটি টাকার চাঁদা দাবির মামলায় ডা. শাহাদাতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ ছাড়া সন্ত্রাসবিরোধী আইন এবং পুলিশ বক্সে হামলা ও ভাঙচুরের অন্য দুই মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।