চট্টগ্রামে নগর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুইটি মামলা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানায় মঙ্গলবার সকালে মামলা দুটি হয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, সোমবার বিকেলে পুলিশ সদস্যদের ওপর বিএনপির হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে। দুই মামলায় ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় সোমবার বেলা ৩টার দিকে এই সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষের সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। আগুন দেয়া হয় বাইক ও রিকশা ভ্যানে। এতে কাজির দেউড়ি ও নাসিমন ভবন এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
নগর বিএনপির নেতা ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান দাবি করেন, পুলিশি হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশত নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, সোমবার বিকেলে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিল বের করে বিএনপি। চিটাগাং ক্লাব ও আলমাস সিনেমা হলের সামনে থেকে বড় দুটি মিছিল বের হয়। মিছিল দুটি কাজির দেউড়ি মোড়ে আসতেই পুলিশ নেতা-কর্মীদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। পুলিশের গুলিতে অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।’
সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেনকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানান নগর বিএনপির সাবেক সহদপ্তর সম্পাদক ইদ্রিছ আলি।