হেফাজতের ডাকা হরতালে বাসে আগুন দেয়া ও নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় করা মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী ও তার কর্মী আরমানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম মামুন অর রশীদ এই আদেশ দেন।
দল থেকে নিখোঁজ দাবি করা বিএনপির নেত্রী নিপুণ রায়কে রোববার বিকেলে র্যাব আটক করে বলে বাহিনীটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজারের বাসা থেকে নিপুণকে আটকের কারণ হিসেবে র্যাব থেকে জানানো হয়, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ডাকা হরতালে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করতে সরাসরি নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একই দিন তার কর্মী আরমানকেও আটক করা হয়।
এ ঘটনায় হাজারীবাগ থানায় করা একটি গাড়ি পোড়ানো মামলায় নিপুণ ও আরমানের চার দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
এদিকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে মামলায় আসামিপক্ষে শুনানি করেন নিপুণের বাবা আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী এবং মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
শুনানিকালে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ‘বায়তুল মোকাররমে কী হয়েছে, তা সবাই জানেন। পুলিশের ভাষ্য মতে, নিপুণ মোবাইল ফোনে আরমানকে গাড়িতে আগুন দিতে বলেছেন।
‘তাহলে তো ঘটনা জানাই গেছে, তাহলে আবার তাদের রিমান্ড নেয়া কেন? যেখানে ঘটনাই ঘটে নাই। নিপুণের কথায় যদি বাসে আগুন দিয়ে থাকে, তাহলে তা হবে ৪৩৫ ধারা। আদালতের বারান্দা পর্যন্ত আসলেই জামিন হওয়ার কথা।’
আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, ‘নিপুণ রায় চৌধুরী অসুস্থ, তার চিকিৎসা প্রয়োজন। তাকে যদি জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয়, তাহলে তার চিকিৎসা শেষে জেলগেটে জিজ্ঞাসা করবেন।’
রাষ্ট্রপক্ষের মহানগর আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করেছেন নিপুণ রায়।
শুনানি শেষে বিচারক মামুনুর রশীদ আসামিকে উচ্চ আদালতের দেয়া নির্দেশনা মোতাবেক তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত রোববার দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নিপুণ রায়ের শ্বশুর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নিশ্চিত করে বলেন, তার পুত্রবধূকে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘নিখোঁজ’ নিপুণ রায় র্যাবের হাতে