রাজশাহীর কাটাখালীতে বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত ১৭ জনের দাফন হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রংপুরের পীরগঞ্জের নিজ নিজ বাড়ির পাশে তাদের মরদেহ দাফন করা হয়।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে রাত ১০টার দিকে দুটি এবং সাড়ে ১১টার দিকে একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহগুলো পীরগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে নেয়া হয়। সেখানে রাত ১১টার দিকে ৯ জনের এবং পৌনে ১২টার দিকে বাকি ৮ জনের জানাজা পড়ানো হয়।
রাজশাহীর কাটাখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মতিয়ার রহমান জানান, শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত হয়। বেলা সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরও জানান, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জনের মরদেহ পুরোটাই পুড়ে গেছে। শনাক্ত করতে তাদের স্বজনদের ডিএনএ নেয়া হয়। শনাক্তকরণ নম্বর দিয়ে পরে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর জ্বলছে মাইক্রোবাসটি। ছবি: নিউজবাংলা
শুক্রবার বেলা পৌনে ২টার দিকে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের কাটাখালী থানার সামনে হানিফ পরিবহনের বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহী থেকে হানিফ পরিবহনের বাসটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। একই সময় মাইক্রোবাসটি রাজশাহীর দিকে আসছিল। কাটাখালীর কাপাশিয়া এলাকায় দুটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে থেমে যায়।
মাইক্রোবাসটির সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে সেটিতে আগুন ধরে যায়। এতে মাইক্রোবাসে থাকা ১৮ জনের মধ্যে চালকসহ ১৭ জন আগুনে পুড়ে মারা যান। নিহত সবাই পীরগঞ্জের বাসিন্দা।
দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন পাভেল নামে এক তরুণ। তিনি রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেশ চন্দ্র জানান, রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জানাজা শেষে ডিএনএ অনুযায়ী মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাতেই তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।