নাশকতা নয়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে একাত্তরের পরিত্যক্ত একটি মর্টারশেলের কারণে।
জেলা পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল বাড়িটি পরিদর্শন করে সেখান থেকে ওই পরিত্যক্ত মর্টারশেলের অংশবিশেষ পায়। সেখানে সন্ত্রাসী তৎপরতার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
এসপি বলেন, ‘ওই বাড়িতে মর্টারশেলটি কাটতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে... বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে জঙ্গি তৎপরতা কিংবা অন্তর্ঘাতমূলক বা অন্য কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সম্পর্ক নেই। এই মর্টারশেলের বিভিন্ন অংশ ঢাকার বিশেষজ্ঞ টিম কালেক্ট করেছে। এটার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তদন্ত চলছে।’
তিনি আরও বলেন, রাজধানী ও রংপুর থেকে বোমা বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে গিয়েছেন বৃহস্পতিবার সকালে। তারা বাড়ির ভেতরে মর্টারশেলের অবশিষ্ট কিছু বিস্ফোরক দ্রব্য পান। সেগুলো সকাল ১০টার দিকে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করা হয়।
তবে ওই বাড়ির লোকজন কীভাবে মর্টারশেলটি পেল, কেনই বা সেটি কাটতে গিয়েছিল- এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি এসপি তৌহিদুল।
মেকুরাই নয়াপাড়া গ্রামে কাসেম মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিনের বাড়িতে বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বাড়ির মালিক বোরহান উদ্দিন, গ্রামের অহেদুল মিয়া ও মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিড়াডাঙ্গা গ্রামের রানা মিয়া নিহত হন।
এ ঘটনায় বাড়ির মালিক বোরহানের মা, স্ত্রীসহ পরিবারের পাঁচজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিস্ফোরণের পর শরীরে ক্ষত নিয়ে পালানোর সময় মশিউর রহমান নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। তার বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায়।