ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় করা মামলায় ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত।
বুধবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২২ এপ্রিল তারিখ দেন।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামিম বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ।
গত মাসে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর মামলাটি সাইবার ট্রাইব্যুনালে আসে৷
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওসমান আরা বেলী ২০২০ সালের ১০ মার্চ হাজারীবাগ থানায় মামলাটি করেন।
যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়াকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করায় গত বছর ৯ মার্চ রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন মাগুরা ১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর।
এরপর ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা হয়।
মামলা হওয়ার পর গত বছরের ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের পক্ষকাল অফিস থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল নিখোঁজ হন।
১১ মার্চ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসি নয়ন।
গত বছরের ১৩ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে শফিকুল ইসলাম কাজলকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত দেয়ার দাবি জানায় তার পরিবার।
পরে ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণের অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক।
ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ফটো সাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বিজিবি।
অনুপ্রবেশের অভিযোগে পরদিন বিজিবির করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরবর্তী সময়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় আরেকটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
প্রায় সাড়ে আট মাস কারাভোগের পর উচ্চ আদালতের জামিন আদেশ পেয়ে ২৫ ডিসেম্বর কাগজ জামিনে মুক্তি পান তিনি।