নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলায় সুলতান শওকত ভ্রমরের জামিন নাকচ করেছে আদালত। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক আনিসুর রহমান এ আদেশ দেন।
সুলতান শওকত আলোচিত এই হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে পলাতক ছিলেন। গেল ১০ মার্চ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাওসার আলমের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। ভ্রমর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
আইনজীবী জিয়াউল হক কাজল নিউজবাংলাকে জানান, মঙ্গলবার ভ্রমর তার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তা নাকচ করে। ফলে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে ভ্রমরকে।
ত্বকী হত্যা মামলার আইনজীবী প্রদীপ ঘোষ জানান, ‘আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়া আসামি সুলতান উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ২০১৪ সালে বিদেশে পালিয়ে যান। পরে আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। কয়েক বছর পর তিনি আদালতে জামিনের জন্য আত্মসমর্পণ করেন।’
তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী
২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সুলতান শওকত ভ্রমর জানান, আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ত্বকীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়।
হত্যার এক বছরের মাথায় ২০১৪ সালের ৫ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাবের তৎকালীন অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান জানান, আজমেরী ওসমানসহ ১১ জন ত্বকী হত্যায় অংশ নেন।
হত্যা মামলার বাদী ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি সম্প্রতি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুলতান শওকত ভ্রমর স্বঘোষিত হত্যাকারী হওয়ার পরও অভিযোগপত্র না দেয়ায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ওসমান পরিবারের সহযোগিতায় বিদেশে পালান। ৮ বছরেও অভিযোগপত্র দিতে পারেনি র্যাব। আজমেরী ওসমানসহ এ হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।’
২০১৩ সালের ৬ মার্চ বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দুদিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী শাখা খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।