নাটোরের গুরুদাসপুরে নিজবাড়ি থেকে সেলিনা বেগম নামের এক গৃহবধূর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তার মেয়েকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উপজেলার উত্তর নারীবাড়ী এলাকায় সোমবার বিকেলে সেলিনাকে হত্যার এ ঘটনা ঘটে। এরপর ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।
পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসব্রিফিংয়ে জানান, টাকা চেয়ে না পেয়ে মেয়েই তার মাকে হত্যা করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
এসপি আরও জানান, বাবার বাড়ি বেড়াতে এসে স্বামীকে মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার জন্য তার মা সেলিনার কাছে টাকা দাবি করেন ববি। টাকা না দেয়ায় মা-মেয়ের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ববি ব্লেড দিয়ে সেলিনাকে হত্যা করেন। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না।
হত্যার পর ববি তার মায়ের ৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ১৭ হাজার টাকা নেন। এরপর ঘটনা ধামাচাপা দিতে দুর্বৃত্তরা তার মাকে হত্যা করে মালামাল লুট করেছে বলে চিৎকার করতে থাকেন।
ঘটনার পর জেলা পুলিশ ও রাজশাহী থেকে আসা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) রাতভর আলামত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ করে।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ববি তার মাকে হত্যার কথা স্বীকার করলে পুলিশ তাকে আটক করে। উদ্ধার করা হয় লুট করা টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও হত্যায় ব্যবহৃত ব্লেড।
এ ঘটনায় নিহত সেলিনা বেগমের ছেলে সুলতান আহমেদ গুরুদাসপুর থানায় বোনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলায় ববিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে তোলা হয়েছে।