বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আইনজীবীদের কর্মবিরতিতে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি

  •    
  • ২৩ মার্চ, ২০২১ ১৫:৪৭

হত্যার দুই দশক পর গত ২১ মার্চ পিপি হাবিবুর রহমান ও তার ছোট ভাই মনির মুন্সি হত্যা মামলার রায় দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শওকত হোসাইন। রায়ে ৫২ আসামির মধ্যে ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড, চারজনকে যাবজ্জীবন, তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। খালাস দেয়া হয় ৩৯ আসামিকে।

শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হত্যা মামলার রায় ‘সন্তোষজনক না হওয়ায়’ কর্মবিরতি পালন করছেন আইনজীবীরা। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা।

সাধারণ সভা ডেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সব আইনজীবী দিনব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করছেন। এ সময় বিচারক শওকত হোসাইনের আদালত স্থায়ীভাবে বর্জনের ঘোষণাও দেন তারা। বিচারক শওকত আলোচিত ওই মামলার রায় দেন।

হত্যার ২০ বছর পর গত ২১ মার্চ পিপি হাবিবুর রহমান ও তার ছোট ভাই মনির মুন্সি হত্যা মামলার রায় দেয়া হয়। রায়ে ৫২ আসামির মধ্যে ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড, চারজনকে যাবজ্জীবন, তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। বেকসুর খালাস দেয়া হয় ৩৯ জনকে।

রায়ের পর আদালত চত্বরেই বিক্ষোভ করেন হাবিবুর রহমানের ছেলে পৌর মেয়র পারভেজ রহমানের সমর্থকরা।

পারভেজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট না। কারণ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন আসামি, যাদের ফাঁসির আদেশ হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি।

‘যাদের বিরুদ্ধে সরাসরি গুলি করার অভিযোগ রয়েছে তাদেরকেও খালাস দেয়া হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’

প্রায় দুই ঘণ্টা তারা অবরোধ করে রাখেন শরীয়তপুর-মাদারীপুর আঞ্চলিক সড়ক। সোমবার তারা আধবেলা হরতাল পালন করে।

সমিতির সভাপতি জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এমন একটি আলোচিত হত্যাকাণ্ডের রায়ে আমরা আইনজীবীরা হতাশ। একই সাথে আমরা ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করছি।’

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আইনজীবীদের কর্মবিরতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিচারপ্রার্থীরা। কয়েকজন ভুক্তভোগী নিউজবাংলাকে জানান, অনেকদূর থেকে টাকা-পয়সা খরচ করে তারা আদালতে এসেছেন। কিন্তু এখন আইনজীবী না পাওয়া তাদের ফেরত যেতে হচ্ছে।

২০০১ সালের ১ অক্টোবর জাতীয় নির্বাচনে শরীয়তপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন মোবারেক আলী সিকদার। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েন হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেব। ওই নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়।

পরে ৮ অক্টোবর ওইসব কেন্দ্রে ভোট হওয়ার কথা ছিল। ভোটের আগে ৫ তারিখ হাবিবুর রহমানের বাসভবনে আওয়ামী লীগের সভা চলছিল। ওই সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হেমায়েতের সমর্থকরা ব্রাশফায়ার করে হাবিবুর ও তার ছোট ভাই যুবলীগ নেতা মনির মুন্সিকে হত্যা করে।

ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয় পিপি হাবিবুর রহমান ও তার ছোট ভাই মনির মুন্সিকে।

হাবিবুরের ভাই মনির মুন্সি ছিলেন পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

হাবিবুর রহমানের স্ত্রী জিন্নাত রহমান হেমায়েতকে প্রধান আসামি করে ৫৫ জনের নামে হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ তদন্তে হেমায়েতের নাম বাদ দিয়ে ২০০৩ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলার বাদী আদালতে নারাজি দেন। আদালত ওই আবেদন নাকচ করে।

হেমায়েত পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অভিযোগ রয়েছে, এর পর তিনি নানাভাবে মামলায় প্রভাব বিস্তার করেন। ২০১৩ সালের ৩ আগস্ট সড়ক দুর্ঘটনায় হেমায়েত মারা যান।

এরপর আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয়। ২০১৩ সালে ৫৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

মামলার রায়ের আগেই মারা যান দুই আসামি শাহজাহান মাঝি ও সান কোতোয়াল।

এ বিভাগের আরো খবর