সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু-অধ্যুষিত গ্রামে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তার শহীদুল ইসলাম স্বাধীনকে (স্বাধীন মেম্বার) ৫ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ২৯ আসামিকে দুই দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন বিচারক।
জেলার সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শ্যাম কান্ত সিনহা দুপুরে আসামিদের রিমান্ড আবেদনের শুনানিতে এই রায় দেন।
সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সেলিম নেওয়াজ নিউজবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকালে হামলার ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক।
তিনি বলেন, দিরাই ও শাল্লার বিভিন্ন স্থানে মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ নিয়ে দুই মামলায় ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থেকে গেল শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও যুবলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে বিরূপ মন্তব্যকারী হেফাজত নেতা মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন স্থানীয় এক যুবক। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হেফাজতের কর্মী-সমর্থকরা ১৭ মার্চ সকালে নোয়াগাঁওয়ে হিন্দুদের বাড়িতে হামলা চালায়। অভিযোগ রয়েছে, জলমহাল নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে বিরোধের জেরে এই হামলায় স্বাধীন মেম্বার জড়িয়ে পড়েন।
শাল্লার সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে করা হয় দুইটি মামলা। হবিবপুর ইউপির চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল প্রথম মামলাটি করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় দিরাইয়ের তাড়ল ইউনিয়নের সদস্য স্বাধীন মিয়াকে। এ মামলায় ৮০ জনের নাম ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরেকটি মামলা করা হয় শাল্লা থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে। তাতে আসামি করা হয় অজ্ঞাতপরিচয় দেড় হাজার ব্যক্তিকে।