বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছোট মেয়ের কাছে সেই রাহেলা বেগম

  •    
  • ২৩ মার্চ, ২০২১ ১৩:০৩

আদালতের এই আদেশ মেনে নিয়েছেন বড় ছেলে আলতাফুর রহমান। রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় আলতাফুর নিউজবাংলাকে বলেন, মা যেহেতু বোন আয়শার কাছে থাকতে চান এবং আদালতও আদেশ দিয়েছে তাই তিনি আর এখন থানা-পুলিশ করতে চান না। তবে সবসময় খোঁজ-খবর রাখবেন। মায়ের থাকা-খাওয়ায় কোনো অসুবিধা হলে তখন আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

অবশেষে আদালতের রায়ে সেই মা রাহেলা বেগম গেলেন ছোট মেয়ে আয়শা বেগমের কাছে। জামালপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সোলায়মান কবীরের আদালত সোমবার এই আদেশ দেয়।

আদালতের এই আদেশ মেনে নিয়েছেন বড় ছেলে আলতাফুর রহমান। মা রাহেলাকে কাছে রাখতে আদালতে আবেদন করেছিলেন তিনি। রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় আলতাফুর নিউজবাংলাকে বলেন, মা যেহেতু বোন আয়শার কাছে থাকতে চান এবং আদালতও আদেশ দিয়েছে তাই তিনি আর এখন থানা-পুলিশ করতে চান না। তবে সবসময় খোঁজ-খবর রাখবেন। মায়ের থাকা-খাওয়ায় কোনো অসুবিধা হলে তখন আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

তবে আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর মন্তব্য পাওয়া যায়নি মেজ মেয়ে আনোয়ারা বেগমের। তিনি বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন। বিষয়টি থানা পুলিশ হয়ে গড়ায় আদালতে। তখন আদালত মাকে আনোয়ারার জিম্মায় দেন। কিন্তু মা রাহেলা ছোট মেয়ে আয়েশার কাছে থাকার ইচ্ছার কথা জানান।

রাহেলা বেগমের বয়স ৮৫ ছুঁই ছুঁই। গেল বছর স্বামীর মৃত্যুর পর থাকতেন বড় ছেলের সঙ্গে নিজ বাড়িতে। তার বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার পূর্ব নলছিয়া গ্রামে। সন্তানদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে আশীতিপর রাহেলাকে বাড়ি থেকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে তাকে এক রাত কাটাতে হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে।

স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাকে নিয়ে এমন রশি টানাটানির ঘটনা জামালপুরে এর আগে তেমন হয়নি। শুধু ছেলেমেয়ের দ্বন্দ্বের কারণেই বৃদ্ধা মা কষ্ট করে সারা রাত থানায় থেকেছেন। জীবনে প্রথমবার আদালতের বারান্দায় গিয়েছেন।’মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুবুল হক জানান, বৃদ্ধার মেয়ে আনোয়ারার অভিযোগের ভিত্তিতে রাহেলা বেগমকে ছেলের বাড়ি থেকে থানায় আনা হয়েছিল। তাকে রাখা হয়েছিল থানার নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কের দায়িত্বে থাকা নারী পুলিশ সদস্যদের তত্ত্বাবধানে। বুধবার রাতে তাকে ভালো খাবারের ব্যবস্থাসহ কম্বল বিছানাও দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর