সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু-অধ্যুষিত গ্রামে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দিরাই ও শাল্লার বিভিন্ন স্থানে সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক।
এ নিয়ে দুই মামলায় ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি শহীদুল ইসলাম স্বাধীনকে (স্বাধীন মেম্বার) কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থেকে গেল শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও যুবলীগ নেতা স্বাধীন মেম্বারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শাল্লার পাশের দিরাইয়ে ১৫ মার্চ (সোমবার) সমাবেশ করে হেফাজত। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা হেফাজত নেতা মামুনুল হক ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। পরদিন মঙ্গলবার মামুনুলের বিরুদ্ধে দেয়া নোয়াগাঁও গ্রামের এক তরুণের স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে।
উত্তেজনা আঁচ করতে পেরে নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তারা ফেসবুকে পোস্ট দেয়া তরুণকে মঙ্গলবার রাতেই পুলিশের হাতে তুলে দেন।
তা সত্ত্বেও বুধবার সকালে এলাকায় বিক্ষোভের ঘোষণা দেয় হেফাজত। কয়েক হাজার মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভাঙচুর করে নোয়াগাঁওয়ের ৮৭টি হিন্দুবাড়ি।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে করা হয় দুইটি মামলা। হবিবপুর ইউপির চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল প্রথম মামলাটি করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় দিরাইয়ের তাড়ল ইউনিয়নের সদস্য স্বাধীন মিয়াকে। এ মামলায় ৮০ জনের নাম ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরেকটি মামলা করা হয় শাল্লা থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে। তাতে আসামি করা হয় অজ্ঞাতপরিচয় দেড় হাজার ব্যক্তিকে।