বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘মৃত’ ছাত্রীর ফেরা: অবশেষে রেহাই খলিল মাঝির

  •    
  • ২২ মার্চ, ২০২১ ২৩:০৪

ওই কিশোরী ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় আবদুল্লাহ, রকিব ও ইকবাল পণ্ডিতের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আবদুল্লাহ ওর রকিব জামিনে আছেন। তবে ইকবাল আছেন কারাগারে।

নারায়ণগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় তিন আসামি আবদুল্লাহ, রকিব ও ইকবাল পণ্ডিতের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্ত কর্মকর্তা।

১৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় হয়।

আদালত তা গ্রহণ করে ২৯ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে। আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান সোমবার নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ওই ঘটনায় খলিলুর রহমান খলিল মাঝির বিরুদ্ধে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে আদালতে আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

ঢাকা পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে মামলাটি গত বছরের ১১ নভেম্বর তদন্তের দায়িত্ব নেন সিআইডির পরিদর্শক আতাউর রহমান।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, মামলার অভিযোগপত্রে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে আবদুল্লাহ, রকিব ও ইকবাল পণ্ডিতের বিরুদ্ধে। তবে খলিল মাঝিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ওই কিশোরী স্কুলে যাওয়া-আসার সময় আবদুল্লাহ তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতেন। এতে রাজি না হওয়ায় আবদুল্লাহ তাকে অপহরণের হুমকি দিতেন। এই প্রেক্ষাপটে গত বছরের ৪ জুলাই সন্ধ্যায় আবদুল্লাহ তার বন্ধু রবিক এবং অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের সগযোগিতায় কিশোরীকে অপহরণ করেন। পরে আবদুল্লাহ ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এতে রকিব সহযোগিতা দেন। পরে ইকবাল পণ্ডিত ওই কিশোরী অপহরণ করে অন্যত্র নিয়ে যান। স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বসবাস করে তাকে ধর্ষণ করেন।

তদন্তে তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

গত বছরের ৪ জুলাই কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ এনে মামলার পর রকিব, খলিলুর (নৌকার মাঝি) ও আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে দেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেন খলিল ও আবদুল্লাহ আদালতে জবানবন্দি দেন। কিন্তু গত বছরের ২৩ আগস্ট কিশোরী নিজের বাড়ি ফিরে আসে।

এ ঘটনায় তুমুল আলোচনা শুরু হয়। জামিনে মুক্তি পেয়ে আসামিরা বলেন, তাদের রিমান্ডে বেধড়ক পেটানো হয়। নির্যাতন থেকে বাঁচতেই পুলিশের শিখিয়ে দেয়া কথা আদালতে বলেন। ঘটনাটি ফাঁস হলে তিনজনই জামিন পান।

আসামি পক্ষের আইনজীবী রোকন উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, আবদুল্লাহ ও রকিব জামিনে রয়েছেন। তবে ইকবাল পণ্ডিত হাজতে আছেন। মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপপরির্দশক (পরে বরখাস্ত) শামীম আল মামুনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত মামলা হয়েছে। উচ্চ আদালতে জুডিশিয়াল তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিভাগের আরো খবর