কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামির রিমান্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
বিচারিক আদালতের দেয়া রিমান্ডের বিরুদ্ধে তাদের করা রিভিউ আবেদন সোমবার খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত। এর ফলে এখন তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশের আর বাধা নেই বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুমারখালী থানার পরিদর্শক রাকিব হাসান।
তিন আসামি হলেন কুমারখালীর কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান আনিস, স্থানীয় সবুজ হোসেন ও হৃদয় আহমেদ। হাইকোর্টের আদেশের পর বিকেল ৩টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে তাদের কুমারখালী থানায় নেয়া হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা রাকিব হাসান জানান, বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলায় ওই তিনজনকে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন কুষ্টিয়া মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত তাদের তিনদিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়।
তিনি আরও জানান, আসামিপক্ষ ওই আদেশের বিরুদ্ধে জেলা দায়রা জজ আদালতে রিভিউ আবেদন করলে বিচারক রিমান্ড বহাল রাখেন। পরে তারা হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান বলেন, হাইকোর্ট তাদের আবেদন খারিজ করে নিম্ন আদালতের আদেশ বহাল রেখেছে। এরপরই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুমারখালী থানায় আনা হয়েছে।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে কুমারখালী উপজেলার কয়া মহাবিদ্যালয়ের সামনে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়।
ভাঙচুরের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ১৯ ডিসেম্বর যুবলীগ নেতা আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যে পরে হৃদয় ও সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ তখন জানিয়েছিল, কয়া কলেজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধে অন্য নেতাদের ফাঁসাতে ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে বলে গ্রেপ্তার তিনজন স্বীকার করেছেন।