হবিগঞ্জে বাসা থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের দুই দিন পর এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আমীর হোসেন একই বাসার দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন। তিনি স্থানীয় দ্বিগাম্বর বাজারের কাঁচামাল আড়তের শ্রমিক।
বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির শনিবার বেলা ১২টার দিকে নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানান। তবে কখন, কোথায় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানানো হয়নি।
ওসি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে আমীর হোসেন ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও একাধিক ব্যক্তির খুনের সাথে জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে। সে কারণে তাকে নিয়ে আমরা অভিযান শুরু করেছি। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের দ্বিগাম্বর গ্রামে একটি ভবনের তৃতীয় তলা থেকে অঞ্জলি মালাকার ও তার নয় বছর বয়সী মেয়ে পূজা দাসের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দুটি মরদেহেরই গলা কাটা ছিল।
- আরও পড়ুন: মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা
ওসি আলমগীর জানান, অঞ্জলির স্বামী সঞ্জিত দাস ব্যবসার কাজে বুধবার সকালে সুনামগঞ্জ গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ফিরে এসে দেখেন বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ। সেটি খুলে ভেতরে গিয়ে স্ত্রী-সন্তানের মরদেহ দেখেন। তিনিই পরে পুলিশকে খবর দেন।
শুক্রবার রাতে সঞ্জিত হত্যা মামলা করেন। তবে মামলার বিস্তারিত জানানো হয়নি।
সঞ্জিত বলেন, ‘আমি শতভাগ নিশ্চিত দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়া আমির হোসেনই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। বুধবার রাত ৪টা ৪৩ মিনিটে আমির হোসেন আমাকে ফোন করে জানায় তার ঘর চুরি হয়েছে। ঘরে থাকা সেলাই মেশিনসহ সব চোর নিয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগেই দরজার পাশে আমির আলী ও তার সহযোগীদের আনাগোনা টের পেয়ে আমার স্ত্রী রাত সাড়ে ৩টার দিকে আমাকে ফোন দিয়ে বলেছিল আমি যেন তাড়াতাড়ি ফিরে আসি। বাসায় তার ভয় লাগছে।’
সঞ্জিত দাসের দাবি, তার স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর স্ত্রী ও সন্তানকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
রিপন আহমেদ নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ওই ভবনের পাশে একটি জমিতে আমির হোসেনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাহুবল হাসপাতালে পাঠায়। এর কিছুক্ষণ পর জানা যায় সঞ্জিতের স্ত্রী, সন্তানকে কারা যেন হত্যা করেছে।
ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার লামা পুটিজুরী শ্মশানঘাট এলাকায় মা-মেয়েকে দাহ করা হয়েছে।