বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শ্রমিক নেতা হত্যা: পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব

  •    
  • ১৫ মার্চ, ২০২১ ১৮:২০

এ মামলার এক আসামি আবুল কালাম আবুর জামিন শুনানির সময় এতদিনেও তদন্ত শেষ না হওয়ার বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। তখন আদালত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শামীম আক্তারকে তলব করে আদেশ দেয়। পাশাপাশি সন্দেহভাজন আসামি আবুর জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছে আদালত।

আদেশের এক বছরেও তদন্ত শেষ না হওয়ায় রাজশাহীর পুঠিয়ার শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক শামীম আক্তারকে তলব করেছে হাইকোর্ট।

আগামী ১৫ এপ্রিল তাকে মামলার সিডি (কেস ডকেট)সহ হাজির হতে বলা হয়েছে।

এ মামলার এক আসামির জামিন শুনানির সময় সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী নিউজবাংলাকে জানান, এ মামলার এক আসামি আবুল কালাম আবুর জামিন শুনানির সময় এতদিনেও তদন্ত শেষ না হওয়ার বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। তখন আদালত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শামীম আক্তারকে তলব করে আদেশ দেয়। পাশাপাশি সন্দেহভাজন আসামি আবুর জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছে আদালত।

এর আগে ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্ব রাজশাহীর পুঠিয়ার শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম হত্যা মামলা তদন্তে পিবিআইকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। মামলার যাবতীয় নথি পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

পুঠিয়া সড়ক পরিবহন মটর শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হন শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম। ২০১৯ সালের ১১ জুন সকালে পুঠিয়ার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার এসএস ব্রিক ফিল্ড থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় তার মেয়ে নিগার সুলতানা থানায় এজাহার দেন। কিন্তু তা গ্রহণ না করে তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়। এরপর কয়েক দিন থানা থেকে কোনো তৎপরতা না দেখে নিহত শ্রমিক নেতার স্ত্রী সাজেদা বেগম পুঠিয়া উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশী মামলা করেন।

এই মামলায় শুনানিকালে পুঠিয়া থানা থেকে নিগার সুলতানার স্বাক্ষর করা একটি এজাহার হাজির করে থানা-পুলিশ। তাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি দেখানো হয়। ওই এজাহারে সন্দেহভাজন হিসেবে পাঁচজনের নাম বলা হয়।

এ এজাহারের বিষয়ে তখনই নিগার সুলতানা ও তার মা সাজেদা বেগম আপত্তি জানিয়ে বলেন, এই এজাহার তাদের নয়। পরবর্তী সময়ে নিহত নুরুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই আইজি, রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি ও রাজশাহীর এসপির কাছে এজাহার বদলে ফেলার অভিযোগ দেন। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি। এ অবস্থায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। এতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়।

হাইকোর্টের নির্দেশে অভিযোগ তদন্ত করে তৎকালীন ওসি সাকিলসহ পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেন রাজশাহীর মুখ্য মহানগর হাকিম মো. মেহেদী হাসান তালুকদার। এই প্রতিবেদন ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পরে নুরুল হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

এ বিভাগের আরো খবর