কুমিল্লায় রোকসানা আক্তার নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তার স্বামীসহ তিনজনের নামে থানায় মামলা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে নিহতের বাবা সদর উপজেলার বদরপুর-কালিয়াজুরি এলাকার আবদুল মান্নান ওরফে মনা মামলাটি করেছেন।
মামলার পর রাতেই সাইফুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে তাকে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তবে এখনও প্রধান আসামি রোকসানা আক্তারের স্বামী দেলোয়ার হোসেন পলাতক আছেন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া গ্রামে ভাড়া বাসা থেকে রোকসানার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূর স্বামী দেলোয়ারের বাড়ি পালপাড়া গ্রামেই। তবে ভিটেমাটি বিক্রি করে ভাড়া বাসায় থাকতেন। পেশায় তিনি পরিবহন শ্রমিক। রোকসানা কুমিল্লা নগরীতে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে আয়ার চাকরি করতেন।
গ্রেপ্তার সাইফুলও দেলোয়ারের ভাড়া বাসার পাশে থাকতেন। পারিবারিক কলহ নিয়ে ওই হত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ছত্রখীল ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফ হোসেন বলেন, ‘দেলোয়ারকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। মামলার দুই নম্বর আসামি সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সঙ্গে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে।’
নিহতের এসএসসি পড়ুয়া মেয়ে স্বর্ণা আক্তার বলেন. ‘তিনি (বাবা) ডেকে নিয়ে আমার মাকে হত্যা করেছে। আমাদের দুই ভাই-বোনকে মা হারা করেছে। আমরা এমন খুনি বাবা চাই না। আমরা তার ফাঁসি চাই।’