ফেনীতে বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় মায়ের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েরও মৃত্যু হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হাফসা ইসলামের মৃত্যু হয়।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) পার্থ শংকর পাল নিউজবাংলাকে জানান, হাফসা ইসলামের শরীরের ২৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। সেই সঙ্গে তার শ্বাসনালীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি বলেন, ‘বাচ্চাটার কন্ডিশন খুব একটা ভালো ছিল না। তাই আইসিইউতে রেখে আমরা সাপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করেছি।’
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এর আগে বুধবার দুপুরে এই ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মেহেরুন নেছা লিপির।
বিস্ফোরণে নিহত মেহেরুন নেছা লিপি। ছবি: নিউজবাংলা
- আরও পড়ুন: বাড়িতে বিস্ফোরণ: মায়ের মৃত্যু
হাফসা ফেনীর হলি ক্রিসেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণিতে পড়ত। তার বোন মরিয়ম ইসলাম সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। তাদের মা মেহেরুন নেছা গৃহিণী। বাবা মাহবুব ইসলাম প্রবাসী।
ফেনী পৌরসভার এই ভবনের পঞ্চমতলায় ঘটে বিস্ফোরণ। ছবি: নিউজবাংলা
মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য মেহেরুন নেছা ফেনী শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ভবনে ভাড়া থাকতেন। ৫ মার্চ রাত ১০ টার দিকে ঘরের ভেতর চুলা থেকে বের হওয়ার গ্যাসে আগুন ধরে যায়। এতে দুই মেয়েসহ দগ্ধ হন তিনি।
- আরও পড়ুন: বাড়িতে বিস্ফোরণ, দগ্ধ মা-দুই মেয়ে
বিস্ফোরণের পর তাদের ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে আরএমও ইকবাল হোসেন তাদের পরীক্ষা করে ঢাকায় পাঠান।
- আরও পড়ুন: বাড়িতে বিস্ফোরণ: মা ও এক মেয়ে আইসিইউতে
চিকিৎসা শেষে মরিয়মকে ৬ মার্চ ছেড়ে দেয়া হয়। তবে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মেহেরুন নেছা ও হাফসাকে রাখা হয় আইসিইউতে।