রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে প্রাচীরঘেরা একটি জমিতে সন্ধান পাওয়া বাগানের গাছগুলো সিআইডির ল্যাবে পরীক্ষার পর গাঁজা বলেই নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
জমির মালিক ও তার ছেলে গাঢাকা দিয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রাথমিক সন্দেহের পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়ার খেজুরবাগান মোল্লা বাড়ি গলি সোহেল হোসেনের মালিকানাধীন প্রাচীরঘেরা ওই স্থানটি পুলিশের নজরদারিতে রাখা হয়। ওই সময় জায়গার মালিক ও তার ছেলেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলেও সুনির্দিষ্ট প্রমাণের অভাবে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। তবে বর্তমানে তারা পলাতক রয়েছেন।
সিআইডি ল্যাবে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে গাঁজা গাছগুলো তারা কেটে জব্দ করেছেন বলে নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ।
তিনি বলেন, ‘গত সোমবার গাঁজাসদৃশ গাছের স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য ঢাকার সিআইডি ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। রিপোর্টে সেগুলো গাঁজা বলেই নিশ্চিত হই। পরে রাতে বাগানের মালিক সোহেল হোসেন ও তার ছেলেকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আজ সকালে গাঁজার গাছগুলো কেটে জব্দ করা হয়। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
তবে অভিযানের দিন বাগানমালিক ও তার ছেলেকে আটক করেও পরে ছেড়ে দেয়ার কারণ জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই সময় তাদের আটক করা হয়েছিল। কিন্তু প্রাথমিক অবস্থায় গাছগুলো গাঁজার কি না সেটা নিশ্চিত হতে পারিনি।’
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে আশুলিয়ার খেজুরবাগান মোল্লা বাড়ি গলি এলাকায় সোহেল হোসেনের জমিতে গাঁজাচাষের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। রাতে ওই জমিতে গিয়ে দেখা যায়, সুউচ্চ প্রাচীরের ভেতর সারিবদ্ধভাবে লাগানো বিপুলসংখ্যক গাঁজাসদৃশ গাছ।
সে সময় জমির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা হাবিবুর রহমান জানিয়েছিলেন, তিন মাস আগে তিনি এখানে নিরাপত্তার দায়িত্ব নেন। এর আগেই গাছের চারাগুলো রোপণ করা হয়। মালিক সোহেল তাকে বলেছিলেন, এগুলো বিদেশি ফুলগাছ। গাঁজাগাছ কি না, তিনি জানেন না।
তিনি আরও জানান, সোহেল জমি কিনে বিক্রি করেন। বাড়ি তৈরি ও কেনাবেচার কাজও করেন। পাশেই তার আরও বাড়ি রয়েছে।