বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনার পর ‘সব কিছুতেই ভয় পেতেন’ জিএম পারভিন

  •    
  • ৭ মার্চ, ২০২১ ০২:২৮

তার ভাই জাহিদ বলেন, ‘অক্টোবরে পারভিনের কোভিড হয়েছিল। তার পর থেকে তার একটা সমস্যা হচ্ছিল যে, সে সব কিছু ভুলে যেত। কোনো কিছু করতে গেলে ভুলে যেত। সব ব্যাপারে ভয় পেত। এই কারণে ঘটনাটি ঘটতে পারে।’

রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের আটতলা থেকে লাফ দেয়া মহাব্যবস্থাপক (জিএম) পারভিন আক্তারের করোনা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

তারা বলছেন, পারভিন সেই থেকে কোনো কিছু করতে গেলেই ভুলে যেতেন, সব ব্যাপারে ভয়ও পেতেন। তাদের ধারণা, এ সব কারণেই আট তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন তিনি। অফিসের কোনো চাপ ছিল না তার ওপর।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মতিঝিল কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। এর সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ। ফুটেজে দেখা যায়, পারভিন আট তলার গ্লাস সরিয়ে লাফ দিচ্ছেন। লাফিয়ে পড়লেও সাত তলার কার্নিশে আটকে যায় তার দেহ। পরে ব্যাংকের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

আহত পারভিন শ্যামলীর ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মিন্টু কুমার শনিবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখনও সঠিক কারণ আমরা জানতে পারি নাই। ভিকটিম কথা বলার অবস্থায় নাই। তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারিনি।

‘তিনি সুস্থ হলে বিষয়টি জানা যাবে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। ফুটেজে দেখা যায়, তিনি ভবনের আট তলার গ্লাস সরিয়ে লাফ দিয়েছেন। এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি।’

স্বজনরা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে পারভিন আক্তারের সিটি স্কান ও আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয়েছে। তার বাম হাত ভেঙে গেছে। কোমরেও ক্ষত আছে। শনিবার বুকের হাড়েও সমস্যা দেখা দিয়েছে।

তার বড় ভাই জাহিদ হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, বুকের হাড়ে সমস্যার কারণে শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে পারভিনেরে। এ জন্য অক্সিজেন দেয়া হয়েছে।

ভাঙা হাতে অস্ত্রোপচার কবে করাবেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অপারেশনের জন্য শারীরিক অবস্থা যতটা ভালো হওয়া লাগে সেই অবস্থায় এখনও পারভিন আসতে পারেনি।

কেন বা কী পরিস্থিতিতে পারভিন এমন ঘটনা ঘটান সে বিষয়ে স্বচ্ছ কোনো ধারণা দিতে পারেননি তার স্বজনরা।

জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা ঘটনা ঘটার পরে জানতে পারছি। সেখানে কী ঘটেছিল আমরা এখনও সঠিকভাবে জানি না। অক্টোবরে পারভিনের কোভিড হয়েছিল। তার পর থেকে তার একটা সমস্যা হচ্ছিল যে, সে সব কিছু ভুলে যেত।

‘কোনো কিছু করতে গেলে ভুলে যেত। সব ব্যাপারে ভয় পেত। এই কারণে ঘটনাটি ঘটতে পারে। পারভিন ঘটনাটি নিয়ে কথা বলার অবস্থায় নাই। তার সঙ্গে কথা বলতে পারলে সঠিক কারণ জানা যাবে।’

পারভিন অফিসের কোনো ধরনের চাপে ছিলেন কি না- জানতে চাইলে তার ভাই জাহিদ বলেন, ‘কোভিডের কারণে সাম্প্রতিক ঘটনা ভুলে যেত ও। একটু আগে কী বলেছে সেটা মনে করতে পারত না। পারভিন যেহেতু জিএম সেহেতু অনেক বোর্ড মিটিংয়ে উপস্থাপনা করতে হয়। সাম্প্রতিক ঘটনা ভুলে যাওয়ার কারণে উপস্থাপনার সময় সে ঠিক মতো উপস্থাপনা করতে পারতো না।

‘সে ভয় পেত, আমি ঠিক মতো উপস্থাপনা করতে পারব না; হ্যারেস হব। বিষয়টা তার কাছে অসম্মানের মনে হয়েছে। এইগুলো নিয়ে চিন্তা করেই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছি। এমডির কোনো চাপ ছিল না। এমডির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি হাসপাতালেও এসেছিলেন। তাদের দুইজনেরও কথা হয়েছে।’

করোনার কারণে পারভিনের আত্মবিশ্বাস কমে গিয়েছিল জানিয়ে তার ভাই বলেন, ‘বিষয়গুলো আমার সঙ্গে শেয়ার করলে আমি তাকে ঢাকা মেডিক্যালে ডাক্তারও দেখিয়েছিলাম।’

মামলার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো মামলা হয় নাই। আমরা মামলা করব না।

ট্রমা সেন্টারের কর্মকর্তা মো. ফয়সাল নিউজবাংলাকে বলেন, পারভিন আক্তার বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় ভর্তি হয়েছেন। তিনি ৪১৬ নম্বর কেবিনে আছেন।

এ বিভাগের আরো খবর