অবশেষে লালমনিরহাটের স্কুলশিক্ষক লক্ষ্মী কান্ত রায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রটি বৃহস্পতিবার সচল হয়েছে। এরপর তিনি করোনাভাইরাসের টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন।
শিক্ষক লক্ষ্মী কান্ত লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার বালাপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী।
এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি টিকার নিবন্ধন করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, তাকে মৃত হিসেবে দেখানো হয়েছে।
এ ঘটনায় নিউজবাংলাসহ বিভিন্ন নিউজপোর্টাল ও পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। জেলায় তিনি ছাড়াও আরও ১৮ জনকে মৃত দেখানোর তথ্য প্রকাশ পায়। এরপর শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
লক্ষ্মী কান্ত রায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাকে ২০১৪ সালের ৩ জুন থেকে মৃত দেখানো হয়েছে। ২০১৬ সালে মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ২০১৯ সালে লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। তখনও আঙুলের ছাপ মেলেনি। কিন্তু তখন বুঝতে পারিনি যে আমাকে মৃত দেখানো হয়েছে।’
লালমনিরহাট সদর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা আজাদুল হেলাল বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর লক্ষ্মী কান্ত রায়ের বিষয়টি সুরাহা করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আয়তায় আনা হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হাসান বলেন, ‘২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় মনমোহন রায় নামের এক ব্যক্তি লক্ষ্মী কান্তকে মৃত দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেয়ার আবেদন করেন। মনমোহন নিজেকে লক্ষ্মী কান্তের ভাই বলে উল্লেখ করেছিলেন। পরে বিষয়টি স্থানীয় এক স্কুলশিক্ষক মোমিনুল হকের মাধ্যমে তথ্য যাচাই করান মনমোহন। যাচাই-বাছাইয়েও তার মারা যাওয়ার মিথ্যা তথ্য দেন মোমিনুল। মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষর রয়েছে যাচাইপত্রের ওই আবেদনে। এ কারণে এত দিন তাকে মৃত দেখিয়েছে নির্বাচন অফিস।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হাসান আরও বলেন, লক্ষ্মী কান্ত বাদেও আরও যে ১৮ জনকে মৃত দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল, তাদের আইডিও বৃহস্পতিবার কার্যকর হয়েছে। এখন থেকে তারা টিকার জন্য নিবন্ধনসহ প্রয়োজনীয় সব কাছে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ‘মৃত’ ১১ জন হাজির নির্বাচন অফিসে