ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ছয় বছরের শিশু সূচী আক্তার হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তার মা চম্পা বেগম।
বাবার কাছে যেতে কান্নাকাটি করায় মেয়েকে তিনি মারধর করেন। এ সময় মাথায় আঘাত লেগে সূচী গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে দাবি করেন চম্পা।
তিনি ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নং আমলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানিয়েছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এর আগে সোমবার গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থেকে ডিবির একটি টিম অভিযান চালিয়ে চম্পাকে গ্রেপ্তার করে।
জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ কামাল আকন্দ নিউজবাংলাকে জানান, চম্পা জামালপুরের চিতলিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী। তিন বছর আগে শিশু কন্যা সূচী আক্তারকে স্বামীর কাছে রেখে তিনি অন্যত্র চলে যান। এরপর বগুড়া শহরের ভাড়া বাসা নিয়ে থাকতেন। শিশু সূচী তার দাদির কাছে থাকত।
এক মাস আগে চম্পা জামালপুরে তার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে শিশু সূচীকে নিয়ে বগুড়ায় চলে যান। সূচী তার মায়ের কাছে না থেকে বাবার বাড়িতে চলে আসার জন্য কান্নাকাটি করলে মা তাকে মারধর করতেন। কয়েকদিন আগে মারধরের সময় সূচীর মাথায় আঘাত লাগে। পরে তাকে বগুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সূচী মারা যায়। ২৫ ফেব্রুয়ারি চম্পা বেগম তার মেয়ের মরদেহ নিয়ে মুক্তাগাছায় ফেরেন। রাতে কম্বলে মুড়িয়ে মুক্তাগাছা শহরের পাড়াটুঙ্গী শন্তির মোড় এলাকায় মরদেহটি রেখে পালিয়ে যান।
পুলিশ অজ্ঞাতনামা পরিচয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করে। পরদিন তার পরিচয় মেলে। ২৭ ফেব্রুয়ারি শিশুটির বাবা সাইফুল ইসলাম মুক্তাগাছা থানায় চম্পার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব ডিবিকে দেয়া হয়।
ডিবি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে চম্পাকে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহে নিয়ে আসেন। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে চম্পাকে কারাগারে পাঠানো হয়।