সাভারে সাবেক সেনাসদস্য হত্যার কারণ এক মাসের মাথায় উদঘাটন করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। তিনি ছিনতাইকারীদের হাতে প্রাণ হারান বলে ডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এই ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে রোববার কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গত ২৪ জানুয়ারি সকালে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর এলাকার একটি শাখা সড়কের পাশ থেকে হাত বাঁধা ও মুখে কাপড় গোঁজা অবস্থায় সাবেক সেনাসদস্য ফজলুল হকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা ছিল, পূর্বশত্রুতার জেরে তাকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
- আরও পড়ুন: সাবেক সেনা সদস্যের হাত বাঁধা মরদেহ
ফজলুল হকের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার রাহতপুর গ্রামে। তিনি চার বছর আগে সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান। এরপর রাজধানীর মতিঝিলে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের প্রধান কার্যালয়ে সিকিউরিটি ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর এলাকার একটি শাখা সড়কের পাশ থেকে পুলিশ ফজলুল হকের মরদেহ উদ্ধার করে। ছবি: নিউজবাংলা
২৩ তারিখ মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন তিনি। ২৫ জানুয়ারি ফজলুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে তদন্তে নামে ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিবি জানায়, হত্যায় জড়িত সন্দেহে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুর থেকে মাসুম ও জনি নামে দুজনকে আটক করা হয়। তাদের তথ্য অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে পাবনা থেকে রব নামে আরেকজনকে আটক করা হয়।
তিনজনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মিরপুর থেকে জব্দ করা হয় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল আলম নিউজবাংলাকে জানান, এই চক্রটি বিভিন্ন সময় ভাড়া করা প্রাইভেট কারে যাত্রী উঠিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ছিনতাই করত।
এসআই আশরাফুল বলেন, ‘ওই সাবেক সেনাসদস্যকেও এই চক্রটি এভাবেই ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে প্রাইভেট কারে তুলেছিল। কিন্তু ছিনতাইয়ের সময় ফজলুল হক ধস্তাধস্তি ও চিৎকার করার চেষ্টা করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সাভারের বিরুলিয়ায় সড়কের পাশে ফেলে দেয়া হয়।’
ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা গেলেও এখনও পলাতক আরেকজন। তাদের বিরুদ্ধে ফরিদপুরের রাজবাড়ী থানায় চারটি মামলা রয়েছে।