কুমিল্লার মহানগরীর ঠাকুরপাড়ায় খেলার মাঠে ছুরিকাঘাতে কিশোর মোহাম্মদ আমিনকে হত্যার ঘটনায় শনিবার কোতোয়ালি মডেল থানায় চারজনের নামে মামলা হয়েছে।
প্রধান আসামি পারভেজসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মোহাম্মদ আমিনের বাড়ি জেলার মুরাদনগর উপজেলার পালাসুতা গ্রামে। সে পরিবারসহ নগরীর ঠাকুরপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকত।
নিহত কিশোর আমিনের মা শেফালী বেগম সকালে চারজনের নাম উল্লেখ করে এ হত্যা মামলা করেন। আসামিরা হলেন পারভেজ, তার ছোট ভাই আরমান, তাদের খালা নাজমা ও খালু জুয়েল। নাজমাকে শুক্রবার দুপুরে বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার দুপুরে পরিবারের কাছে আমিনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। বেলা আড়াইটায় নগরীর টমছমব্রিজ এলাকায় একটি কবরস্থানে আমিনের মরদেহ দাফন করা হয়।
আমিনের বড় ভাই ইয়াছিন বলেন, ‘আমি সম্পর্ক কইরা বিয়া করছি। হের লেইগ্যা আমার ছোডু ভাইডারে আমার বউয়ের মামতো ভাই পারভিজ্জা (পারভেজ) মাইরালাইছে।’
আমিনের মা শেফালী বেগম বলেন, ‘আমার পোলাডা সারাডা সাপ্তা (সপ্তাহ) কাম করত। শুক্কুরবার আইলে খেলত। কেউর লগে কাইজ্জা (ঝগড়া) করত না। আমার ভালা পোলাডারে ছুরি দিয়া মাইরালাইলো।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, পারিবারিক বিরোধের জেরে আমিনের বড় ভাই ইয়াছিনকে কয়েক দিন আগেও পারভেজ মারধর করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে কুমিল্লা নগরীর বিসিক এলাকায় একটি মাঠে ক্রিকেট খেলছিল আমিন। এই খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন পারভেজ। নো বল দেয়া নিয়ে দুজনের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে পারভেজ ছুরি এনে আমিনকে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই কিশোর আমিন মারা যায়।
ঘটনার পর রাতে অভিযান চালিয়ে পারভেজকে আটক করা হয়। আদালতের মাধ্যমে দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।