রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ে ঢুকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য সমর বিজয় চাকমাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ১৮ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, ১০ জনের নামসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৮ জনকে আসমি করে রাত দেড়টার দিকে মামলা করেছেন ইউপি মেম্বার বিনয় চাকমা।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস-সন্তু লারমা) নেতা মনিময় চাকমাকে।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অস্ত্রধারী এক ব্যক্তি সরকারি অফিসে ঢুকে সমরকে গুলি করে পালিয়ে যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফুল ইসলাম ঘটনাটি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
সমর উপজেলার রুপকারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন।
বাঘাইছড়ি থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত সমর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা-সংস্কারবাদী) গ্রুপের বাঘাইছড়ি থানার স্কুলবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে নিহত ইউপি সদস্য সমর বিজয় চাকমা। ছবি: নিউজবাংলা
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পিআইও নূরনবী সরকার নিউজবাংলাকে বলেছেন, ‘সমর বিজয় চাকমা প্রকল্প বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। এ সময় একজনকে জানালা দিয়ে উঁকি দিতে দেখা যায়। এর পরপরই অপর একজন ভেতরে ঢুকে বুকের মাঝখানে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।’
এ হত্যাকাণ্ডের জন্য বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও এমএন লারমা-সংস্কারবাদী সমিতির আইনবিষয়ক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা জেএসএস গ্রুপকে দায়ী করেছেন।
তবে জেএসএস-সন্তু লারমা গ্রুপের একজন বলেন, ‘জনসংহতি সমিতি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তার দায় আমাদের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেয়া একটা ষড়যন্ত্র।’
ওসি আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে নিহত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত শেষ হলে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হত্যা মামলায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।