প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বরগুনার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের সেই চেয়ারম্যান।
হেলিকপ্টারে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ইমাম হোসেন শিপন সরিষামুড়ির মায়ারহাট এলাকায় নামেন। সেখানে হাজির হন বহু মানুষ। এর আগে তিন মাস তিনি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
২০২০ সালের ২০ নভেম্বর সরিষামুড়ি ইউনিয়নের সাতঘর কালিকাবাড়ি বাজার এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন শিপন। সেখান থেকে ফেরার পথে নাপিতবাড়ির সামনে ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে ফেলে যায়।
তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেন স্থানীয় লোকজন। সেখান থেকে তাকে নেয়া হয় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর ওই রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেয়ার পর হেলিকপ্টারে বাড়ি ফেরেন হামলার শিকার সেই চেয়ারম্যান। ছবি: নিউজবাংলা
এলাকায় ফিরে শিপন মায়ারহাটে এক সভায় অংশ নেন। তিনি বলেন, ‘সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ শরীফ ও তার ছেলেদের বর্বরোচিত হামলার শিকার হওয়ার পর আপনারা যেভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমার জন্য দোয়া করেছেন, আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
আপনাদের এ ঋণ আমি কোনোদিন শোধ করতে পারব না। আপনাদের সেবায় আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পাশে থাকতে চাই।’
শিপন পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই জেলা পুলিশ যে আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে আমি সন্তুষ্ট। সাংবাদিক ভাইয়েরা কুখ্যাত খুনি ইউসুফ শরীফ গংয়ের মুখোশ উন্মোচন করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। আমি সাংবাদিক ভাইদের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ।’
হামলার পর ২৪ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে বেতাগী থানায় মামলা করেন শিপনের শ্বশুর রফিকুল ইসলাম মন্টু। মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ শরীফকে প্রধান আসামি এবং তার তিন ছেলে জাফর শরীফ, আজীম শরীফ, হাসিব শরীফসহ ১৪ জনের নামসহ এবং পাঁচ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।
তবে এতদিনেও গ্রেপ্তার হয়নি মামলার মূল আসামিরা।