যশোর পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার শেষে কথা-কাটাকাটির জেরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় কাউন্সিলর প্রার্থীসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
নিহত পারভেজ হোসেনের বাবা তুতা বিশ্বাস মঙ্গলবার গভীর রাতে কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সোহাগের নির্দেশে পারভেজকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন ঘোপ জেল রোড বউবাজার এলাকার নুর আলম, নান্টু, ডিআইজি সড়কের মোহাম্মাদ দ্বীন, জুলফি, বউবাজার এলাকার নজরুল ও কাউন্সিলর প্রার্থী শফিকুল ইসলাম সোহাগ।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সোহাগসহ অন্যদের সঙ্গে পারভেজ ঘোরাফেরা করতেন। তবে কিছুদিন ধরে তাদের সঙ্গে পারভেজের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সোহাগের নির্দেশে বউবাজার এলাকায় দা, হাসুয়া, ছোরা নিয়ে পারভেজের ওপর হামলা চালানো হয়। পারভেজ দৌড়ে একটি বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। হামলাকারীরা সেখানে গিয়ে পারভেজকে আবারও কোপাতে থাকে।
পরে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা চলে যায়। গুরুতর জখম পারভেজকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ ঘটনায় চিকিৎসক আব্দুর রশিদ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই পারভেজের মৃত্যু হয়।
পারভেজের রক্তাক্ত মরদেহ দেখে ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শফিকুল ইসলাম সোহাগ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে সোহাগ দাবি করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর মকসিমুল বারী অপু এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
তবে কাউন্সিলর অপু এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, তার বিরদ্ধে হত্যা দূরে থাক, কাউকে চড় মারার অভিযোগও নেই।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহম্মদ মনিরুজ্জামান কলেন, ‘সোহাগকে আমরা নরজদারিতে রেখেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা করা হচ্ছে।’