মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার একটি খাদ থেকে উদ্ধার হওয়া সেই নবজাতক কন্যাশিশুর লালন-পালনের দায়িত্ব পেলে এক দম্পতি।
আবেদনের ভিত্তিতে শিশুটিকে বুধবার সন্ধ্যায় ওই দম্পতির কাছে তুলে দেয়া হয়।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইকবাল হোসেন বলেন, ‘শিশুটিকে লালন-পালনের জন্য মঙ্গলবার ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের দুই পরিবার তাদের জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মানিকগঞ্জ শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস আবেদনটি যাচাই-বাছাই করলে রাজশাহী বিভাগের ওই দম্পতির কাছে শিশুটিকে তুলে দেয়া হয়।
‘শিশুটি হাসপাতালে থাকাকালীনই তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়। শিশুটিকে পেয়ে তারা অনেক আনন্দিত।’
শিশুর লালন পালনের দায়িত্ব পাওয়া ওই দম্পতি জানায়, প্রায় এক যুগ আগে তাদের বিয়ে হলেও কোনো সন্তান নেই তাদের। বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর দেখে তারা শিশুটিকে লালন-পালনের দায়িত্ব নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন।
মেয়ে শিশুটিকে পেয়ে সন্তানের অভাব পূরণ হয়েছে বলে জানান তারা। তারা প্রশাসনের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এর আগে, সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গুডলাক সিএনজির পাশের খাদ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিশুটিকে উদ্ধারকারী নারী সামসুন্নাহার জানান, স্বামী জালাল উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ওই সিএনজি স্টেশনের পাশে গরুর জন্য কচুরিপানা আনতে যান। সেখানে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে খাদে একটি ওড়না নড়তে দেখেন তারা। সেখানে গিয়ে দেখতে পান কন্যাশিশুটি নড়াচড়া করছে।
শিশুটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন সামসুন্নাহার-জালাল দম্পতি। স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানের সহায়তায় পরে শিশুটিকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।