গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে তিন দিন আগে নিখোঁজ তিন ছাত্রের কোনো খবর পাওয়া যায়নি এখনও। এতে ক্ষুব্ধ ওই শিশুদের স্বজনরা। তবে পুলিশ বলছে, শিশুরা ইচ্ছে করেই কোথাও চলে গেছে।
সাদুল্যাপুরের আমজাদ হোসেন নূরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা থেকে রোববার ভোরে নিখোঁজ হয় ১২ বছরের রবিউল ইসলাম, ১১ বছরের শিপন মিয়া ও ৯ বছরের শরিফ বাবু।
এদের মধ্যে রবিউলের বাড়ি সাদুল্যাপুরের তিলকপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের রশিদুল ইসলামের ছেলে। শিপন একই গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে এবং শরিফ পলাশবাড়ীর আশমতপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মাদ্রাসার শিক্ষক মেহেদী হাসান। মঙ্গলবার রাতে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ওই তিন জনকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজা হচ্ছে। কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ এসে মাদ্রাসার ছাত্র-সভাপতি ও এলাকার লোকজনদের সঙ্গে কথা বলেছে।
এ বিষয়ে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রজব আলী বলেন, ‘সবখানে কথা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এরা বুদ্ধি করে গেছে… এরা ঢাকায় গিয়ে থাকতে পারে।’
তিনি জানান, শিশুদের সন্ধানে বিভিন্ন জেলায় খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
মাদ্রাসার শিক্ষক মেহেদী বলেন, ‘রোববার ভোরে এতিমখানার আট শিক্ষার্থীসহ ফজরের নামাজ পড়ি। এর পর ছাত্ররা তাদের বিছানাপত্র ঠিকঠাক করছিল। কিছুক্ষণ পর আট জনের মধ্যে তিন জনকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ করতে থাকি।’
নিখোঁজ শরিফের বড় ভাই শরিফুল ইসলাম একই এতিমখানায় হেফজ শিক্ষার্থী। সে বলে, ‘ফজরের নামাজ সবাই পড়ছি। পরে হুজুর আমাক কইলো তোমার ভাই কই; দেখছি না। পরে শুনি রবিউল আর শিপনও নাই। এখনও ভাইকে খুঁজে পাচ্ছি না।’
নিখোঁজ শিপনের বাবা রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কষ্ট করে মাস মাস মাদ্রাসায় টেকা দেই। ছোল হাফেজ বানামু। এখন ছোল কোনটে খুঁজি।’