পারিবারিক কলহের জেরেই স্ত্রী-শাশুড়িকে হত্যা করেছে বলে জবানবন্দি দিয়েছেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের হালগাও গ্রামের লোকমান হোসেন।
বুধবার কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের ২ নম্বর আমলী আদালতে উপস্থিত করলে বিচারক মিথিলা জাহান মিতার কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেন লোকমান। পরে তাকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়।
হত্যার ঘটনায় বোনের স্বামীকে একমাত্র আসামি করে বুড়িচং থানায় হত্যা মামলা করেছেন লোকমানের শ্যালক মেহেদী হাসান।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক নিউজবাংলাকে জানান, উত্তেজিত হয়ে ও পারিবারিক কলহের কারণেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন আসামি লোকমান।
এ দিকে নিহত মা-মেয়ের ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার দুপুরে আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের নিজ গ্রাম বল্লভপুরে তাদের দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে হালগাও গ্রামে নিজ বাড়িতে স্ত্রী ফারজানা আক্তার ও শাশুড়ি বানু বেগমকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর ঘরের দরজায় বসে ছিলেন লোকমান। লোকমানের শ্বশুরবাড়ি কালির বাজার ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামে।
স্থানীয় লোকজন জানান, লোকমান হোসেন মাদকাসক্ত। বিকেলে হঠাৎ করেই উত্তেজিত হয়ে স্ত্রী ফারজানা ও তার মা বানুকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান।
লোকমান জানান, ফারজানার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি সমাধানের জন্য সকালে তার (লোকমান) শাশুড়ি বানু বিবিকে খবর দিয়ে তার (লোকমান) বাড়িতে আসতে বলেন। সন্ধ্যার দিকে বানু বিবি ফারজানার বিষয়ে সমাধান না করে লোকমানকে গালমন্দ করেন। এতে উত্তেজিত হয়ে তিনি ছুরি দিয়ে বানু বিবি ও ফারজানাকে হত্যা করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, লোকমান পেশায় অটোরিকশাচালক। ফারজানা-লোকমান দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লোকমানকে আটক করে।
মায়ের মৃত্যু ও বাবা জেলে থাকায় দুটি শিশু তাদের চাচা দেলোয়ার হোসেনের কাছে আছে।