বড় হচ্ছে কুমিল্লার সেই লক্ষ্মীপ্যাঁচার চার ছানা। আর কিছু দিন পর উড়তেও পারবে। দেখে বোঝার উপায় নেই এক মাস আগে ছানাগুলো ঘরহারা হয়েছিল।
প্যাঁচার ছানাদের খেয়াল রাখছিলেন কুমিল্লা সদরের প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন। তিনি বন্যপ্রাণীর ছবি তোলেন ২০১৪ সাল থেকে। পাশাপাশি বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজও করেন।
মোশারফ মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে জানান, লক্ষ্মীপ্যাঁচার ছানাগুলো বড় হয়েছে। আর কিছুদিন পর উড়তে ও শিকার করতে পারবে। তবে তার অভিযোগ, বনবিভাগ এ ক্ষেত্রে কোনো সহযোগিতা করেনি।
সদর উপজেলার রঘুপুরে বেসরকারি সংস্থা ‘এইড কুমিল্লা’র ছাদে জায়গা পায় প্যাঁচার ছানাগুলো। একটি কাঠের বাসা বানিয়ে তাদের রাখা হয়।
লক্ষ্মীপ্যাঁচার ছানাগুলোকে খাবার খাওয়াচ্ছেন মোশারফ হোসেন ও তার বন্ধু গৌতম চন্দ্র দাস। ছবি: নিউজবাংলা
‘এইড কুমিল্লা’র নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া বেগম শেফালী বলেন, ‘আমরা দুর্গন্ধের কারণে প্রথমে বের করে দিলেও সবার অনুরোধে ফলস ছাদে প্যাঁচার ছানাগুলো রাখার ব্যবস্থা করি। মা প্যাঁচাটি ছানার কাছে ফিরে আসে। এখন ভালোই লাগছে যে আর কয়েক দিন পর ছানাগুলো উড়তে পারবে। পাশাপাশি খারাপ লাগছে এদের আর দেখতে পাব না।’
গত জানুয়ারিতে ‘এইড কুমিল্লা’র একটি কক্ষের ফলস ছাদে বাসা বেঁধেছিল এই লক্ষ্মীপ্যাঁচা দম্পতি। ডিম ফোটে চারটি ছানা বের হয়। দুর্গন্ধ ছড়ানোয় ১৩ জানুয়ারি ওই চার ছানাকে বের করে দেয়া হয়। তাদের জায়গা হয় ওই সংস্থার ছাদে। ঠান্ডা হাওয়ায় জবুথবু হয়েছিল ছানাগুলো। বন বিভাগকে জানানো হলেও তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি তারা।
পরে এ ঘটনায় নিউজবাংলায় সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসেন বন কর্মকর্তারা। তারা এইড-এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে বনবিভাগ তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। তারা মোশারফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
মোশারফ ব্যক্তিগত খরচে লক্ষ্মীপ্যাঁচার ছানাগুলোকে যত্ন শুরু করেন। সঙ্গে ছিলেন তার বন্ধু আরেক পাখিপ্রেমী গৌতম চন্দ্র দাস। এর কিছুদিন পরই প্যাঁচা দম্পতি ফিরে আসে।
- আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর অনাথ চার ছানা