প্রায় সময়ই বিষণ্নতায় ভুগতেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী তাওহীদুল আলম প্রত্যয়। তার বিষণ্নতা কাটাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কাউন্সিলিং করানো হয়।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান জানান, তাওহীদুল আলম প্রত্যয় এর আগে আরও দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে পরিবারের সদস্যরা টের পাওয়ায় তিনি সফল হননি।
তবে সোমবার আর শেষ রক্ষা হয়নি।
মঙ্গলবার পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে প্রত্যয়ের বিষণ্নতার এবং আত্মহত্যার চেষ্টার তথ্য জানতে পেরেছে নিউজবাংলা।সোমবার রাতে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের একটি মেস থেকে প্রত্যয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।মৃত তাওহীদুল আলম প্রত্যয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের (২০১৭-১৮ সেশন) শিক্ষার্থী। তার বাড়ি মাগুরার মোহাম্মদপুর থানা এলাকায়।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে স্বপ্নীল সুপার মার্কেটের দ্বিতীয়তলায় শিক্ষার্থীরা মেস করে থাকতেন। মেসের ৬ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলও তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়নি।
এ দিকে প্রত্যয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে মাগুরা থেকে সিলেটে এসেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওসি নাজমুল হুদা বলেন, ‘প্রত্যয়ের পরিবার ও সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, সব সময় একা থাকতে পছন্দ করতেন তিনি। মানুষের সঙ্গে চলাফেরাও কম ছিল। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি মাঝে মধ্যে টিউশন পড়াতেন।’
তিনি আরও বলেন, প্রত্যয়ের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় তার মেসের কক্ষের জানালা দিয়ে দেখতে পেয়ে শাকিল নামের এক যুবক জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যয়ের লাশ উদ্ধার করে।
সুরতহালে প্রত্যয়ের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলে জানা যাবে বলে জানান ওসি।
বিশ্ববিদ্যায়লের সহকারী প্রক্টর আলমগীর কবীর বলেন, প্রত্যয়ের বিষণ্নতা কাটাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কাউন্সিলিং করানো হয়েছিল।
ব্যক্তিগত হতাশা থেকে প্রত্যয় আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা এই শিক্ষকের।