সিলেট থেকে বালুবাহী বাল্কহেডে আসা সেই মেছোবাঘ কুমিল্লা চিড়িয়াখানা থেকেও পালিয়েছে। খাঁচা থেকে মোছোবাঘটি পালানোর এ ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।
জেলা পরিষদ বলছে, জনবল ও অর্থসংকটের কারণে চিড়িয়াখানার নানা সীমাবদ্ধতা আছে।
গত ২৫ জানুয়ারি মেছোবাঘটি পালিয়ে গেলেও খবর পাওয়া যায় বুধবার।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর জানান, বাঘটি খাঁচায় না থাকার ঘটনাটি তিনি বুধবার জানতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, ‘বাঘটি পালিয়ে গেছে, না অন্য কোনো সমস্যা হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখতে হবে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করব। তদন্তে গাফিলতি পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
চিড়িয়াখানার প্রাণীদের পরিচর্যা কর্মী শাহ আলম বলেন, ‘ডিসি স্যার যে দিন বাঘটি দিছেন, আমরা খাঁচায় রাখছি। মুরগির গোস্ত পিস করে রাইতে খাইতে দিছি, পানি দিছি। সকালে আইয়া দেখি বাঘ নাই। খাঁচার ভিতরে বাঘ থাকার ছোট ঘর আছে, হিয়ানো গিয়াও দেহি নাই।’
কুমিল্লা চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের ইজারাদার মো. আনিছুর রহমান জানান, যে দিন বাঘ খাঁচায় রাখা হয়েছে, সে রাতেই সেটি পালিয়েছে। খাঁচায় তেমন কোনো ফাঁকা নেই। তবে তাদের ধারণা, ছোট হওয়ায় রড বেয়ে ওপরে উঠে ওই অংশ দিয়ে চলে গেছে।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘চিড়িয়াখানায় জনবল সংকট আছে, রয়েছে বাজেট স্বল্পতা। যেভাবে দেখাশোনা, পরিচর্যার দরকার, সেভাবে তা না করার কারণে বাঘটি পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে।’
২৪ জানুয়ারি বালুবাহী বাল্কহেডে সিলেট থেকে কুমিল্লায় আসে ওই মেছোবাঘ। মেঘনা উপজেলার মেঘনা নদী তীর সংলগ্ন নলচর গ্রামে বাল্কহেডটি নোঙর করার পর বাঘটি সেখান থেকে লাফিয়ে পড়ে। দৌড়াতে শুরু করে গ্রামের কবরস্থানের দিকে। এ সময় গ্রামের লোকজন কৌশলে বাঘটিকে আটক করে।
পরে জেলা প্রশাসনের কাছে বাঘটি হস্তান্তর করে উপজেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে কুমিল্লা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছে বাঘটিকে হস্তান্তর করা হয়। ২৫ জানুয়ারি সকাল থেকেই বাঘটিকে আর দেখা যায় নি খাঁচায়।
আরও পড়ুন: বাল্কহেডে সিলেট থেকে কুমিল্লায় মেছো বাঘ!