বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ককটেলে কবজি হারানো শিশুটির চোখ নিয়েও শঙ্কা

  •    
  • ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:০৩

খেলনা ভেবে ককটেল নিয়ে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে হাতের কবজি উড়ে যাওয়া মহরমীর এবার চোখ নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। বিস্ফোরণে তার চোখও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিকিৎসক বলছেন, বৃহস্পতিবার জানা যাবে, তার চোখের কী অবস্থা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার গনকা বিদিরপুর মহল্লায় ককটেলকে খেলনা ভেবে খেলার সময় বিস্ফোরণে কবজি হারানো মহরমী আক্তার মায়ার দুই চোখ নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বুধবার সকালে মহরমীর দাদী আকলিমা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাতটা গেছিলো, তাও মনে করেছিনু যে বাড়িতে থাকবে। এখন চোখ দুটায় মনে হয় নষ্ট হয়্যা গেছে। আর দেখতে প্যাবে কিনা বুঝতে পারছি না। ডাক্তাররাও এখনো কিছু বলতে পারছে না, আল্লাহ তুমি হ্যামার মহরমীকে দেখার শক্তিটা দাও।’

বাড়ির পাশেই যেখানে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছিল সেখানে গিয়ে ঘটনার বর্ণনা করেন আকলিমা বেগম। তিনি বলেন ‘ছ্যালা মিলা কি বুঝাছিলো যে ওটা বোম? লাল কট্যার মত পড়্যা ছিলো, দিয়্যা খেলছিল। তিনটা বাড়ি ম্যারাছিলো ওয়ালে ওখনি ফুট্যা গেছে, হামরা বড় মানুষই চিনতে পারব না কোনটা বোম, ওরা কেমন কর‌্যা বুঝতে পারবে?’

কারা ককটেল ফেলে রেখেছিল, এই প্রশ্নের উত্তরে আকলিমা বলেন, ‘হামরা এসব কিছু জানি না। আল্লাহর কাছে বিচার দিছি, আল্লাহ বিচার করবে।’

মহরমীর দাদা আব্দুল কাইয়ুম জানান, সকালে মহরমীর চোখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল। তার চোখে দেখার ক্ষমতা চলে যায় কি না, সেটি নিয়েই চিন্তায় আছেন তারা।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানান, মহরমী ডান হাতের কবজির অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। অন্যদিকে তার চোখের চিকিৎসাও চলছে। চোখে কতটুকু ক্ষতি হয়েছে, তা আগামীকাল জানা যাবে।

গত সোমবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার গনকা বিদিরপুর মহল্লায় খেলনা ভেবে পরিত্যক্ত ককটেল নিয়ে খেলার সময় বিস্ফোরণে ১১ বছর বয়সী মহরমী আক্তার মায়া ও তার ছোট বোন তিন বছর বয়সী মারিয়া খাতুন আহত হয়। এতে মহরমীর ডান হাতের কবজি উড়ে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর