বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক নারীর পরিবর্তে আরেক জনের গর্ভপাতের চেষ্টা তদন্তে কমিটি

  •    
  • ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ১৭:৩৮

ঘটনার পর নার্স ফাতেমা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন রোগীর স্বজনরা। তবে বৃহস্পতিবার ফাতেমা কর্মস্থলে আছেন বলে জানান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশ্বাদ উল্লাহ। অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে এখন তা সম্ভব নয় বলে জানান আরশ্বাদ। বলেন, তদন্ত চলাকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে তার কথা বলা ঠিক হবে না।

মানিকগঞ্জে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা জিয়াসমিন আক্তারকে জোর করে গর্ভপাত করানোর চেষ্টার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশ্বাদ উল্লাহ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গর্জনা গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা জিয়াসমিন ২৪ জানুয়ারি সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ২০ নম্বর শয্যায় ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসা চলছিল তার। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে শয্যা থেকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যান নার্স ফাতেমা আক্তার। সেখানে জোর করে গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করেন তিনি।

গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রুমা বলেছেন, গাইনি ওয়ার্ডে ২১ নম্বর বেডে এক রোগীকে গর্ভপাত (ডিঅ্যান্ডসি) করানোর কথা ছিল। কিন্তু ২০ ও ২১ বেডে পাশাপাশি হওয়ায় হয়তো ভুলে ওই রোগীকে অন্য কক্ষে নিয়ে যান নার্স ফাতেমা আক্তার।

ঘটনার পর নার্স ফাতেমা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন রোগীর স্বজনরা। তবে বৃহস্পতিবার ফাতেমা কর্মস্থলে আছেন বলে জানান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশ্বাদ উল্লাহ। অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে এখন তা সম্ভব নয় বলে জানান আরশ্বাদ। বলেন, তদন্ত চলাকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে তার কথা বলা ঠিক হবে না।

ওই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন গৃহবধূ জিয়াসমিনের চাচা লুৎফর রহমান। এর পর বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেয়া হয়।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ওসমান গনী, মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আরফান আনসারী এবং শাহারিন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশ্বাদ উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ওই গৃহবধূর চাচার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।

গৃহবধূ জিয়াসমিন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে একটু ভালো বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

জিয়াসমিন আক্তার জানান, রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ২৬ জানুয়ারি জোর করে তার গর্ভপাত করানোর চেষ্টা হয়। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন।

জিয়াসমিনের মা জানান, তার মেয়েকে জোর করে কী কারণে গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করা হলো এবং কার লাভের জন্য ওই নার্স এমন কাজ করলেন, তা তিনি জানতে চান। সেই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর