বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুপিয়ে হত্যা, ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

  •    
  • ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ২১:৪৫

পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘শুক্রবার রাতে নিহতের ভাই শাহাবুদ্দিন খন্দকার পিন্টু একটি মামলা করেছেন। অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক জনসহ ১২ জনের নামে মামলা হয়েছে। ছাত্রলীগের এক নেতাও মামলার আসামি।’

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় বাড়ির পাশে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আশুলিয়া থানায় শুক্রবার রাতে মামলাটি করেন নিহত শাহজাদা খন্দকার মনার ভাই শাহাবুদ্দিন খন্দকার পিন্টু। এরই মধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলায় আসামি করা হয়েছে আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ টিটু, আশুলিয়া থানা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও যুবলীগকর্মী মো. আরিফকে। বাকি আসামিরাও ছাত্রলীগ নেতা টিটু ও সাবেক যুবলীগ নেতা সাইফুলের অনুসারী বলে জানা গেছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার ডেন্ডাবর নতুন পাড়া এলাকার আল আমিন, নুরুজ্জামান ও মো. রনি।

এছাড়া জয়পুরহাট জেলার সদর থানার রকি, নড়াইল জেলার নড়াগতি থানার খাশিয়াল গ্রামের রেজাউল ইসলাম পারভেজ, মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার কচুয়া গ্রামের মেহেদী হাসান নাজমুল, একই জেলার সদর থানার ইসলামপুর গ্রামের মো. আরিফ ও শিবালয় থানার তেওতা গ্রামের মো. জুয়েল, টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার সিনন্দীন গ্রামের মো. সুমন ও একই জেলার দেলদুয়ার থানার নান্দুলিয়া গ্রামের মো. রাব্বী। এরা সবাই আশুলিয়ার ডেন্ডাবর নতুন পাড়া এলাকায় থাকতেন।

এদের মধ্যে মো. জুয়েল, মো. নুরুজ্জামান, মেহেদী হাসান নাজমুল ও রেজাউল ইসলাম পারভেজকে আটক করে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডেন্ডাবর নতুন পাড়া এলাকার শাহজাদা খন্দকার মনা বাড়ির পাশে সন্ত্রাসীদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন। পরে তাকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মনার ভাই শাহাবুদ্দিন খন্দকার পিন্টু ও তার স্ত্রী আলেয়া বেগম।

স্থানীয়দের অভিযোগ, হত্যায় জড়িতরা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘আরিফ নাম কইরা ওগোর একটা গ্রুপ আছে। ওই আশুলিয়া থানা যুবলীগ করে। নতুন পাড়া ধইরা ফিটিং-টিটিং, ইয়াবার ব্যবসা করে। ওরা হলো সব টিটুর লোক। এছাড়া মেহেদী, রকি, ছাত্রলীগের বাবু, নুরুজ্জামান পারভেজ এগুলা সব গুলা টিটুর পোলাপান। টোটালটাই মেইনটেইন করে টিটু। মাঝে মধ্যে ওরা টিটুর সঙ্গে মিছিল-মিটিংয়েও যায়।’

আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শামিউল আলম শামিম বলেন, ‘আটক জুয়েল, নুরুজ্জামান, সুমন, মেহেদী নামে কাউকে আমি চিনি না। শুধু আরিফকে চিনি ভালো করে। সে যুবলীগ করে। আর টিটুরে একটা পক্ষ ফাঁসাচ্ছে। টিটু যেহেতু আমার কমিটির সাধারণ সম্পাদক। সে যদি অপরাধী হয় তাহলে শাস্তি হবে। মামলা হওয়া মানেইতো সে অপরাধী না।’

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘শুক্রবার রাতে নিহতের ভাই শাহাবুদ্দিন খন্দকার পিন্টু একটি মামলা করেছেন। অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক জনসহ ১২ জনের নামে মামলা হয়েছে। ছাত্রলীগের এক নেতাও মামলার আসামি। হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারদের দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালত। অভিযোগের বিষয়ে আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ টিটুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এ বিভাগের আরো খবর