বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় সুন্দরবনের বাঘের চামড়াসহ আটক গাউস ফকিরকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বুধবার বিকেলে বন আদালতের বিচারক সমীর কুমার মল্লিক বন আইনের মামলায় এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের উপপরিদর্শক দিলীপ কুমার সরকার।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে শরণখোলার রায়েন্দা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন তেলের পাম্পের কাছে একটি ব্রিজের নিচে থেকে বাঘের চামড়াসহ গাউস ফকিরকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের সদস্যরা। গাউস ফকিরের বাড়ি শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ সাউথখালী গ্রামে।
- আরও পড়ুন: বাঘের চামড়াসহ চোরাকারবারি আটক
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, বাঘের চামড়া বিক্রি হচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৮ ও বন বিভাগের সদস্যরা যৌথভাবে অভিযান চালায়। মঙ্গলবার বিকেলে র্যাবের সদস্যরা ক্রেতা সেজে গাউস ফকিরের কাছ বাঘের চামড়া কিনতে গেলে তিনি ১৭ লাখ টাকা দাম চান। পরে ১৩ লাখ টাকা দামে তিনি বাঘের চামড়া বিক্রি করতে রাজি হন।
তিনি আরও জানান, কথামতো মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে শরণখোলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন তেলের পাম্পের কাছে জলিলের ব্রিজের নিচে বাঘের চামড়া নিয়ে এলে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে বন আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বেলায়েত জানান, তার কাছ থেকে উদ্ধার করা বাঘের চামড়াটি ৮ ফুট ১ ইঞ্চি লম্বা ও ৩ ফুট ১ ইঞ্চি চওড়া।