জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল রেলক্রেসিংয়ে বাসে ট্রেনের ধাক্কায় আহত বাস চালক মামুনুর রশিদ মারা গেছেন।
দুর্ঘটনার আট দিন পর মামুনুর রশিদ রোববার বগুড়ার শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এতে ওই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩।
গত ১৯ ডিসেম্বরের ওই দুর্ঘটনায় সেদিনই নিহত হন ১২ জন।
মামুনুর রশিদ জয়পুরহাট সদর উপজেলার হারাইল গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে।
- আরও পড়ুন: বাসে ট্রেনের ধাক্কা: নিহত বেড়ে ১২
মামুনুরের স্ত্রী সুমি বেগম জানান, মামুনুর রশিদ ওই বাসটি চালিয়ে জয়পুরহাট থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থল বন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন। একই বাসে থাকা অপর এক বাস চালক ও পাঁচবিবি উপজেলার সিরাজুল ইসলামের ছেলে জিয়াউল ইসলাম জিয়াও ১২ জনের সঙ্গে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
তিনি জানান, প্রথমে ছিন্নবিচ্ছিন্ন মরদেহ দেখে মামুনকে শনাক্ত করা যায়নি। সে অবস্থায় তাকে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করানোর অনেক পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন তিনি জীবিত। সেখানে আট দিন অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার মারা যান বলে জানান মামুনুর রশিদের স্ত্রী সুমি।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মনজের আলী জানান, প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থার পর মামুনুর রশিদের মৃতদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।