কুমিল্লায় কিশোর মো. আরাফাত হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনা ধামাচাপা দিতেই দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় বলেও তাদের অভিযোগ।
গত মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা শহরতলির বউবাজারের হাজি সুলতান আহমেদ সুপার মার্কেটের পেছনে লেপ-তোষকের দোকানে আগুন লাগে। পরে তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। মার্কেটের নয়টি দোকান পুড়ে যায়।
পরে লেপ-তোষকের দোকান থেকে কিশোর আরাফাত পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে চাঁনপুর ফকির বাড়ির আবদুল বারেকের ছেলে। থাই গ্লাসের মিস্ত্রির কাজ করত সে।
এ ঘটনায় কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় বুধবার রাতে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
তবে তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, স্থানীয় তিন কিশোর আরাফাতকে সেদিন বাড়ি থেকে ডেকে নিয়েগিয়েছিল। মাদক সেবনে বাধা দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জানতে চাইলে আরাফাতের বাবা আবদুল বারেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার পোলাডারে তারা বাড়িত থাইক্যা ডাইক্যা লইয়া গেছে। আমার পোলা আগুনে পুইড়্যা মরছে না। আমার পোলারে মাইরালাইছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি থানায় গেছিলাম মামলা করতে। পুলিশ আমার থাইক্যা স্বাক্ষর নিছে। পরে বাড়িতে আইস্যা হুনি এইডা খুনের মামলা না। অপমৃত্যুর মামলা অইছে। আমি সব তথ্য লইতাছি। কোডে গিয়া মামলা কইরাম।’
চাচাতো ভাই রিয়াদ হাসান হৃদয় বলেন, এটা কোনোভাবেই অপমৃত্যু হতে পারে না। আরাফাতের পুড়ে যাওয়া মরদেহ যেভাবে পাওয়া গেছে, তাতে তাদের মনে হচ্ছে, আরাফাতের হাত-পা বাঁধা ছিল।
তিনি আরও বলেন, একটি টিনের ঘরে ওই লেপ-তোষকের দোকানে আগুন নেভাতে গিয়ে আরাফাত পুড়ে মরবে এটা অবাস্তব ও অসম্ভব।
জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল হক বলেন, ‘আমরা নিজেরা কেন অপমৃত্যুর মামলা নিতে যাব? তারা দুই দিন অপেক্ষা করে এবং চিন্তা-ভাবনা করেই অপমৃত্যুর মামলা করেছে।’