আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের গুলিবিদ্ধ চার নেতা-কর্মীসহ ৩২ জনের নামে মামলা হয়েছে।
উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজমত আলী সরিষাবাড়ী থানায় এই মামলা করেন।
এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার ৩ নম্বর আসামি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের ডান চোখে গুলিবিদ্ধ হয়। তিনি বর্তমানে ঢাকা চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, বিজয় দিবসকে সামনে রেখে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের উদ্যোগে তারাকান্দি শহিদ মিনার চত্বরে বিজয় মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা সাখায়াতুল আলম মুকুলের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল যমুনা সার কারখানা গেটপাড় এলাকায় আসে।
এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে লাঠিসোঁটা, রামদা, হকিস্টিক ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় কয়েকটি গুলির ঘটনা ঘটে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে শহিদ মিনারে মঞ্চ তৈরির কাজ তদারকি করছিলেন ছাত্রলীগ নেতা আল মামুন। সাখায়াতুল আলম মুকুলের নেতৃত্বে সশস্ত্র নেতা-কর্মীরা বিনা কারণে সেখানে হামলা চালান। হামলাকারীরা কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এ সময় আল মামুন, আবুল, ঠান্ডু, মিজান, হাফিজুর, সাকিব, সাত্তার ও স্বপন গুলিবিদ্ধ হন।
তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা স্থানীয় ব্যবসায়ী গফুর, নুর নবী, কালাম, সুমন, সেলিম ও দিলসাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায় ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
তবে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজমত আলী পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, রফিকুলের নেতৃত্বে স্থানীয় একটি গ্রুপ যুবলীগের মিছিলে হামলা করনে। তারাই নেতা-কর্মীদের মারধর, গুলি বর্ষণ এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু মো. ফজলুল করীম জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।