তিন কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার মেয়র এক ব্যক্তিকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর উল্টো ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধেই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল।
শনিবার মেয়র জুয়েল ও তার সহযোগী শরিফুল হক বিনাউটি ইউনিয়নে তিনলাখ পীর গ্রামের বাছির মিয়া ও তার পরিবারকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
বাছির মিয়া জানান, অবৈধ বালু উত্তোলনের ঘটনায় মেয়রসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা করেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, মামলাটি তুলে নিতে চাপ দিচ্ছেন মেয়র ও তার লোকজন। এতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের ওপর হামলা হয়।
মেয়রের সহযোগী হিসেবে পরিচিত শরিফুল হক উপজেলা যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
রোববার সাধারণ ডায়েরিতে মেয়র জুয়েল উল্লেখ করেন, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন। পরে জানতে পারেন তিনলাখপীর গ্রামের বাছির মিয়া তার বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে কাল্পনিক কথাবার্তা বলে আমাকে হেয় করার চেষ্টা হচ্ছে।’
মেয়র আরও বলেন, ‘আমি একজন মেয়র হয়ে আমার এলাকার লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারি না। তাই সাধারণ ডায়েরি করে তাদের শোধরানোর সুযোগ দিলাম। পরে আবার মানহানিকর কোনও কাজ করলে মামলা করা হবে।’
মেয়রের জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লোকমান হোসেন।
তবে মারধরের ঘটনায় বাছির মিয়ার পরিবারের পক্ষে কেউ মামলা করেনি বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বাছির মিয়া বলেন, ‘ঘটনার পর পারিবারিক কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গণমাধ্যমের কাছে মেয়রের হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন বাছির মিয়া।