বাগেরহাটে মোরেলগঞ্জে কওমি মাদ্রাসার পাশ থেকে ১১ বছর বয়সী ছাত্রের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় শিক্ষক ও ইমাম হাফিজুর রহমান এবং বাবুর্চি সিদ্দিকুর রহমানকে দুই দিন করে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সমির মল্লিক তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। এর আগে কড়া নিরাপত্তায় তাদের আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। কোর্ট ইন্সপেক্টর দিলীপ সরকার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
শিশুটিকে মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নাম আলহাজ্ব রহমতিয়া স্মৃতি শিশু সনদ হাফেজি ও কওমি মাদ্রাসা।
রোববার সকালে মাদ্রাসার পাশ থেকে হাসিবুল শেখের মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। রাতেই ইমাম ও বাবুর্চিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়। নিহত শিশুটির মা তাসলিমা বেগম সোমবার মামলা করার পর তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়।মরদেহ উদ্ধারের দিন মাদ্রাসার এক শিক্ষক বলেছিলেন, শনিবার রাতে খেলার পর অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘুমায় হাসিবুল। সকালে ফজরের নামাজ শেষে মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থী তার মরদেহ দেখতে পেয়ে সবাইকে জানায়।ওই মাদ্রাসায় ৩৫ জন পড়ালেখা করে। তাদের কয়েকজনের সঙ্গে পুলিশ কথা বলেছে।