যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ‘স্বামীর দেয়া’ আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ হীরা বেগম বুধবার সকালে মারা গেছেন।
গুরুতর দগ্ধ হীরা অভিযোগ করেছিলেন, সামান্য কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে স্বামী তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে বিলের দিকে দৌঁড়ে পালিয়ে যান।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এই পাষণ্ডের বিচার দাবি করছি।’
হীরা উপজেলার চাকই-মরিচা গ্রামের বিল্লাল সরদারের স্ত্রী। অক্টোবরে তাদের বিয়ে হয়।
হীরার ভাই নয়ন সরদার নিউজবাংলাকে জানান, ‘হীরাকে তার স্বামী বিল্লাল ২৬ নভেম্বর ভোরে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। হীরাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে সেদিনই তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।’
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে বুধবার সকালে হীরার মৃত্যু হয়।
হীরা বেগমের মা উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের মজিদা বেগম জানান, ‘বিল্লাল অমানুষের মতো আমার মেয়ে হীরার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার মণ্ডল জানান, থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ওই গৃহবধূর বিল্লালকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।