কুমিল্লায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাতুল হাসিনের মৃত্যু নিয়ে অন্ধকারে পুলিশ। তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি হত্যার শিকার- তার কিনারা করা যায়নি। তবে তার নয় তলা ভবনে প্রবেশ ও ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার একটি ভিডিও পেয়েছে পুলিশ।
কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। পাশাপাশি হাসিনের স্বজন ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছি। আশা করছি দ্রুত মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানাতে পারব।’
বুধবার বিকেলে বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের উত্তরগ্রামের নিজ বাড়িতে হাসিনকে দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ধর্মসাগর এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনের কাছ থেকে হাসিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নয় তলা ভবন থেকে তিনি লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
তেইশ বছরের হাসিন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস টেকনলজিতে পড়তেন। তিনি নগরীর ধর্মসাগর পশ্চিম পাড়ার ইদ্রিস মেহেদীর মেয়ে।
তার মৃত্যুর এক দিন পর ওই ভবন সংলগ্ন একটি রাজনৈতিক কার্যালয়ে বসানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আসে নিউজবাংলার কাছে। দেড় মিনিটের ওই ফুটেজে দেখা যায়, হাসিন একাই ওই ভবনে ঢুকছেন। এর ঠিক ১০ মিনিট পরে হাসিনকে ভবন থেকে নিচে পড়তে দেখা যায়। লোকজন ছুটে গিয়ে তার মাথা ও শরীরে পানি ঢালতে থাকে।
ভবনের নিরাপত্তাকর্মী হাবিবুর রহমান জানান, ‘হাসিন ঢোকার সময় তিনি কোথায় যাবেন জানতে চেয়েছিলেন। এ সময় হাসিন সপ্তম তলায় যাওয়ার কথা জানান।’
হাসিনের কিছু বন্ধু ও প্রতিবেশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক ছিল তার। সম্প্রীতি ছেলেটি আরেক জনকে বিয়ে করায় হতাশায় ভুগছিলেন হাসিন।
তার বাবা ইদ্রিস মেহেদি বলেন, ‘সোমবার কাউকে কিছু না জানিয়ে ঢাকা থেকে কুমিল্লায় চলে আসেন হাসিন। পর দিন দুপুরে সে আমাদের এক হাজার টাকা দেয়। টাকা কোথায় পেলে জানতে চাইলে হাসিন বলেছিল সে ব্যাংকে ইন্টার্ন করছে। এটা তার প্রথম উপার্জন।’
এর ঘণ্টাখানেক পর হাসিন শ্যাম্পু আনার কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। পরে তার মৃত্যুর খবর পায় পরিবার।