বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বস্তা কেলেঙ্কারি: খাদ্যের আরও ২৩ জনকে বদলি

  •    
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২০ ২১:০৯

বুধবার দিবাগত রাতে নতুন করে ২৩ জনের বদলির আদেশ জারি হলেও বৃহস্পতিবার কর্মস্থলে এসে তারা জানতে পারেন। তাদের ২ নভেম্বর নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা খাদ্য বিভাগের আরও ২৩ জনকে বদলি করা হয়েছে। তারা সবাই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।

তাদেরও বস্তা ক্রয়ে দুর্নীতির ঘটনায় বদলি করা হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর থেকে বুধবার পর্যন্ত পৃথক ছয়টি আদেশে ১৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারিকে বদলি করা হয়। এদের তিনজন ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা (ওসিলএসডি) ও ৬ জন পরিদর্শক।

বুধবার দিবাগত রাতে নতুন করে ২৩ জনের বদলির আদেশ জারি হলেও বৃহস্পতিবার কর্মস্থলে এসে তারা জানতে পারেন। এদের বিভিন্ন উপজেলার খাদ্য গুদামে বদলি করা হয়। তাদের ২ নভেম্বর নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নতুন বদলি হওয়া কর্মচারীরা সবাই বিভিন্ন খাদ্য গুদামের নিরাপত্তা প্রহরী। তারা হলেন, রাজারহাটের ইসমাইল হোসেন ও ফারুক মন্ডল; নাগেশ্বরীর গোলাম রব্বানী, তৌহিদুল হক, মাহাবুর রহমান ও নুরুজ্জামান নয়ন; ফুলবাড়ীর আবু বকর ছিদ্দিক, নুর ইসলাম ও আব্দুল গফুর; রৌমারীর আবু জোবায়ের ও হাবিবুর রহমান; চিলমারীর মাঈদুল ইসলাম ও সোহরাব হোসেন দুদু; কুড়িগ্রাম সদরের হেলিম উদ্দিন তালুকদার, মরিয়ম বেগম, মাহবুবা শবনম, জাহিদ হাসান, জিয়াউর রহমান, জেসমিন বেগম ও মোস্তাফিজার রহমান; উলিপুরের নুরে আলম সরকার; ভুরুঙ্গমারীর জয়মনিরহাটের রমজান আলী এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী শাহ আলম।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান বলেন, রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সালামের টেলিফোন নির্দেশনায় বুধবার রাতেই এ বদলির আদেশ জারি হয়। দুই বছরের বেশি সময় যারা একই কর্মস্থলে ছিলেন তাদের বদলি করা হয়েছে।

কুড়িগ্রামে সরবরাহ করা বস্তা। ফাইল ছবি।

 

গত বোরো মৌসুমে ধান, চাল ও গম সংরক্ষণে প্রায় আট লাখ নতুন বস্তা ক্রয়ের লক্ষ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কুড়িগ্রাম খাদ্য বিভাগের চুক্তি হয়। ওই প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশে আট লাখ পুরনো ও ছেঁড়া-ফাটা বস্তা কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ি ও ভুরুঙ্গামারী খাদ্যগুদামে সরবরাহ করে বলে অভিযোগ ওঠে।

ওই সময় রংপুর ও নীলফামারীতে বস্তার সংকট দেখা দিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কুড়িগ্রাম সদর খাদ্য গুদাম থেকে সদ্য কেনা ২ লাখ বস্তা সেখানে পাঠানো হয়। ওই দুই জেলা পুরাতন বস্তা গ্রহণ না করে ফেরৎ পাঠায়। এ নিয়ে খাদ্য বিভাগে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। স্থানীয় ভাবে গঠন করা হয় দুটি তদন্ত কমিটি।

টেন্ডারে নতুন বস্তার দর ছিল ৬০ টাকা (৩০ কেজির বস্তা) এবং ৮০ টাকা (৫০ কেজির বস্তা)। অভিযোগ উঠেছে, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ১০ হতে ১২ টাকা দরে পুরোনো বস্তা কিনে স্টেনসিল ব্যবহার ও ইস্ত্রি করে নতুন বস্তা হিসেবে চালিয়ে দেয়।

সংশ্লিষ্ট গুদাম কর্মকর্তারা ওই সব ছেঁড়া-ফাটা বস্তা নতুন হিসেবে প্রত্যয়নপত্র দিয়ে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বস্তাপ্রতি ১৬ হতে ২০ টাকা ঘুষ নেন বলেও অভিযোগ ওঠে।

বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে গত ৫ অক্টোবর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মজিবর রহমানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি সরেজমিন তদন্ত করে।

এ বিভাগের আরো খবর