বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিজ নিজ দায়িত্ব পালনই শহীদদের রক্তের ঋণ শোধের উপায়

  • প্রতিনিধি, ঢাবি   
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৭:৩০

অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘সব অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা সোচ্চার থেকেছে। দেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালে এই প্রতিষ্ঠান জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭১-এর ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালেও তরুণরা জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে এবং অসাধ্য সাধন করেছে।’

শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। তিনি বলেছেন, এটিই শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধের ন্যূনতম উপায় হতে পারে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, শহীদ গিয়াস উদ্দিন আহমদের ছোট বোন অধ্যাপক সাজেদা বানু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদুসহ মুক্তিযোদ্ধা প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট কমান্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়ন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ পরিবার কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।

রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘যে ক’টি বড় ঘটনা আমাদের জাতীয়তাবাদ ও জাতিসত্তার পরিচায়ক, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এর মধ্যে অন্যতম। দেশ স্বাধীন না হলে আমরা কোনো পদ-পদবি, মর্যাদা কিছুই পেতাম না। কী পরিমাণ আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি দেশ পেয়েছি, জাতি হিসেবে তা সবার জানা প্রয়োজন।

‘২৪-এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য বুঝার জন্য ঐতিহাসিক এসব ঘটনা পরম্পরা জানা দরকার উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, শহীদ পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের প্রতিনিয়ত অন্তরের রক্তক্ষরণ হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে হবে।’

উপাচার্য বলেন, ‘সব অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা সোচ্চার থেকেছে। দেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালে এই প্রতিষ্ঠান জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭১-এর ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালেও তরুণরা জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে এবং অসাধ্য সাধন করেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের কবরগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা কামনা করেন উপাচার্য।

তিনি বলেন, ‘৭১-এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে সাঈদ-মুগ্ধরা ২০২৪ সালে দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। ঐতিহাসিক এসব ঘটনা পরম্পরার তাৎপর্য অনুধাবন করে এ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে।’

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর ও রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া এবং বিভিন্ন উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর