কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন ও সাবেক প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকীসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওপর ১১ জুলাইয়ের হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের হওয়া এই মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দেয়া মো. সাখাওয়াত হোসেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় এই মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হুকুমমতে বেআইনি জনতাবদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে সাধারণ জখম করা এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টির অপরাধে এই মামলা করা হয়েছে।
এই মামলায় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন ছাড়াও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট চারজন শিক্ষকের নাম রয়েছে। তারা হলেন- সাবেক প্রক্টর ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী, আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ, সহকারী প্রক্টর ও মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক আবু উবাইদা রাহিদ এবং সহকারী প্রক্টর ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক অমিত দত্ত। তাদের মধ্যে অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ ১১ জুলাই ভারতে অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া এই মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামও রয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. জাকির হোসেন, সেকশন অফিসার রেজাউল ইসলাম মাজেদ, বিল্লাল হোসেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী পরিষদের সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লানিং দপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর মো মহসিন, আইকিউএসি’র অফিস সহকারী কাম ডাটা প্রসেসর মো. জসিম, হিসাব বিভাগের অফিস সহকারী কাম ডাটা প্রসেসর মো. ফখরুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এই মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীকেও বিবাদী করা হয়েছে।
বাদী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সমন্বয়কদের সিদ্ধান্তক্রমে আমি মামলা দায়ের করেছি।’
এ ব্যাপারে সাবেক প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি মামলার বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এ মামলা দেয়া হয়েছে। মামলার বিষয়ে আমি আইনি পদক্ষেপ নেব।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস এম আরিফুর রহমান বলেন, ‘৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানীত শিক্ষকদের নামও রয়েছে। আমাদের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মোতাবেক তদন্ত করা হবে।’
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনকলে তাকে পাওয়া যায়নি।