সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবিতে সোমবার আবারও চট্টগ্রামের রাজপথে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিন বিকাল ৩টায় নগরের জামালখানে প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে এর আগেই ওই এলাকায় পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন। ফলে সেখানে কোনো শিক্ষার্থী জড়ো হননি।
তবে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বন্দর নগরের কোতোয়ালি থানার চেরাগী পাহাড় মোড়ে বেশকিছু শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে সেখানে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পুলিশ দুজনকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলতে চাইলে বিক্ষোভকারীরা বাধা দেন। তারা প্রিজন ভ্যানের সামনে সড়কের ওপর বসে পড়েন। এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারগ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটককৃতদের নিয়ে যায়।
এছাড়া বিকেল ৩টার দিকে নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। পরে সেখানে সেনাবাহিনীর কয়েকটি গাড়ি এসে অবস্থান নেয়। ঘটনাস্থলের পাশে পুলিশের একটি টিমও দেখা গেছে।
আটকের বিষয়টি স্বীকার করলেও কতজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে পারেননি নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি অঞ্চল) অতনু চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘কতজনকে আটক করা হয়েছে, তা এখনও বলতে পারছি না।’
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী তারেক আজিজ বলেন, ‘এমনিতে সভা-সমাবেশ করলে পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তারা পুলিশ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। এছাড়া কারফিউ চলাকালে শিথিল থাকলেও কোনো সভা-সমাবেশ করা যায় না। কেউ যদি আইন ভঙ্গ করে কর্মসূচি পালন করে তাহলে পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আইনিভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করবে।’