বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমতলীতে ১৫ শিক্ষার্থীর জন্য ১৬ শিক্ষক-কর্মচারী

  • বরগুনা প্রতিনিধি   
  • ৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২২:২০

বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর কালামপুর হাতেমিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী মাত্র ১৫ জন, অথচ শিক্ষক-কর্মচারী মিলে আছে ১৬ জন। শিক্ষার্থীর চেয়ে শিক্ষক-কর্মচারী বেশি হলেও সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবছর ব্যয় হচ্ছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, কমিটি ও শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে প্রতিষ্ঠানটি কার্যত ধুঁকছে।

গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর-পূর্ব কলাগাছিয়া গ্রামে অবস্থিত এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬০ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি নানা অনিয়ম ও দ্বন্দ্বে জর্জরিত। দীর্ঘদিন ধরে কমিটির অযাচিত হস্তক্ষেপ, শিক্ষক-কর্মচারীদের বিভেদ ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলার কারণে শিক্ষার্থী সংখ্যা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। একসময় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী থাকলেও বর্তমানে শিক্ষার্থী মাত্র ১৫ জন। অন্যদিকে শিক্ষক ১২ জন ও কর্মচারী ৪ জন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাদের মধ্যে কয়েকজন নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকেন না। গত বছর দাখিল পরীক্ষায় ৩৭ শিক্ষার্থী অংশ নিলেও পাস করেছে মাত্র ৭ জন। ২০২৬ সালের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ৩৬ শিক্ষার্থীর, তবে নিয়মিত ক্লাসে আসে মাত্র দুইজন। ইবতেদায়ী শাখায় শিক্ষার্থী নেই বললেই চলে। কাগজপত্রে যেখানে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর নাম রয়েছে, বাস্তবে ক্লাসে সর্বোচ্চ ১৫ জন উপস্থিত।

গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, চারটি শ্রেণিকক্ষে পাঠ নিচ্ছে ১৫ শিক্ষার্থী—এর মধ্যে দশম শ্রেণিতে ২ জন, নবম শ্রেণিতে ২ জন এবং বাকি ১১ জন অন্যান্য শ্রেণিতে। এ সময় নৈশ প্রহরী আব্দুল জলিলকে শিক্ষকদের আসনে বসে থাকতে দেখা যায়, কিন্তু ভারপ্রাপ্ত সুপার কামরুজ্জামান কবির উপস্থিত ছিলেন না।

স্থানীয়দের দাবি, তিনি মাসের বেশির ভাগ সময় ঢাকায় থাকেন, মাঝে মধ্যে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে চলে যান।

মাদ্রাসার সহ-সুপার মাওলানা ফারুক হোসেন বলেন, বর্ষার কারণে শিক্ষার্থী কিছুটা কম আসে। বৃষ্টি না হলে উপস্থিতি বেড়ে যায়। মাদ্রাসায় কোনো অনিয়ম নেই।

ভারপ্রাপ্ত সুপার কামরুজ্জামান কবির বলেন, আমি দপ্তরিক কাজে ঢাকায় আছি। বর্ষার মৌসুমে শিক্ষার্থী কিছুটা কম থাকে। পাশাপাশি এলাকায় তিনটি মাদ্রাসা থাকায় শিক্ষার্থী কিছুটা ছড়িয়ে গেছে।

আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াদ হাসান বলেন, মাদ্রাসার অনিয়মের বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান বলেন, ১৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

এ বিভাগের আরো খবর