কোটা সংস্কারের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন ও সরকারি কবি নজরুল কলেজের এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে কয়েক হাজার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী লাঠিসোটা হাতে নিয়ে পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজার অতিক্রম করার সময় এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ‘পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা এ গুলি চালিয়েছে। গুলিবিদ্ধরা হলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনিক, অন্তু, ফেরদৌস জামান ও মো. নাসিম এবং কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী হাসিব।
আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ছুরিকাঘাতে তায়াফ নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী আহত হয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যালে ভর্তি রয়েছেন।
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ডা. আরিফ বলেন, ‘চারজনকে গুলিবিদ্ধ ও একজনকে ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় পেয়েছি। গুলিবিদ্ধ চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর ছুরিকাঘাতে আহত শিক্ষার্থীকে এখানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
এ বিষয়ে কোতোয়ালি জোনের এএসপি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গুলির খবর শুনেছি। তবে আমরা এক গ্রুপকেই মিছিল করতে দেখেছি। অন্য গ্রুপ দেখিনি।’
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে স্টাম্প ও লাঠি হাতে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘আন্দোলনে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’সহ নানা স্লোগান দেন।
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির উদ্দেশে মঙ্গলবার বেলা ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে বাসে করে ক্যাম্পাস ছেড়ে যান। তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়ায় পুরান ঢাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসের সামনে শো-ডাউন করতে দেখা যায়।